পঞ্চায়েত প্রধান হতে নকল বাবা
পাড়ার একই পদবীর লোককে ধরে বাবাস সাজিয়ে টিকিট পেল বিজেপি প্রার্থী
জলজ্যান্ত বাবাকে অস্বীকার
পঞ্চায়েত প্রধান হতে নিজের বাবাকেই ভুলে গেলেন বিজেপি প্রার্থী
আজব কান্ড
ক্ষমতার লোভ বড় লোভ। ক্ষমতার। ক্ষমতার লোভে পড়ে মানুষ খুন পর্যন্ত করতে পারে আর এতো সাধারণ নিজের পিতৃ পরিচয় ভুলে যাওয়া। তবে পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার জন্য নিজের আসল বাবাকে ভুলে যাওয়ার ঘটনা বোধহয় বেনজির। আসল বাবার পরিচয় দিলে কোনদিনই পাবেন না টিকিট ,তা জানতে পেরেই নকল বাবা সাজিয়েছিলেন এই বিজেপি প্রার্থী । বানিয়েছিলেন নকল এস সি সংসাপত্র। নকল ভোটার কার্ড। জানাজানি হতেই তুমুল চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে।
Byte
নদীয়া জেলার এই পঞ্চায়েতের ১৮ নম্বর সিট সংরক্ষিত ছিল তপশিলিদের জন্য । যথারীতি বিজেপির এই প্রার্থী বৈদ্যনাথ সরকার তপশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। ভোটে জেতার জন্য এবং পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার জন্য
নকল বাবা সাজিয়ে ভোটার কার্ড বানায় সে এখানেই শেষ নয় পরবর্তীতে S C শংসাপত্র বানিয়ে ভোটে জয়লাভ করে সে।
Byte
একে তো এই পঞ্চায়েতে কুড়িটি সিটের মধ্যে দশটিতে বিজেপি, নয়টিতে তৃণমূল এবং একটিতে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছে। পরবর্তীকালে ওই একজন নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করাতে এই পঞ্চায়েতে ভোট সীমাবদ্ধ থাকে মূলত দুই শিবিরের মধ্যে। এক তৃণমূল অন্য বিজেপি। ভোটের এমন ফলাফলের পর থেকেই কার্যত বিতর্ক শুরু হয়েছে এলাকায়, । দু দলের মধ্যেই সমান ভোট থাকাতে কোন দল শেষমেশ বোর্ড গঠন করতে পারবে তাই নিয়ে চলছে চাপানোতোর। আর তার মাঝখানে এই গুরুতর অভিযোগ নিয়েই রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
মঙ্গলবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বিডিও এসডিও এবং ডিএম এর কাছে। তাদের অভিযোগ, বিজেপির জয়ী প্রার্থী বৈদ্যনাথ সরকার ওই একই এলাকায় বসবাসকারী নিরঞ্জন সরকার এবং উৎপল সরকারের মৃত বাবা স্বর্গীয় অক্ষয় সরকারকে আইনি বাবা বানিয়ে তিনি ভোটে দাঁড়ান। তবে ধরা পড়ে যান ভোটার তালিকায় থাকা বাড়ির নম্বর মেলানোর সময়, জানা যায়,বৈদ্যনাথ সরকার তার স্থানীয় এলাকারই নিরঞ্জন সরকার ও উৎপল সরকারের বাবা বর্তমানে মৃত অক্ষয় সরকারের বাবাকে নিজের বাবা সাজিয়ে এস সি শংসাপত্র বের করে ভোটের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ায়।
Byte
অন্যদিকে ছেলেকে নিয়ে এমন মন্তব্য শুনতে নারাজ বৈদ্যনাথ সরকারের নিজের বাবা মা।
Byte
গোটা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমস্যায় পরেছে বিজেপি শিবির। এখন দেখার বিষয়, কোনদিকে মোড় নিয়ে কোন দল তৈরি করতে পারে পঞ্চায়েতে নতুন বোর্ড।
Leave a Reply