তৃণমূলের প্রধান,
বিজেপির উপপ্রধান ।
তাদের আবার সমর্থন করেছে কংগ্রেস সিপিএম
ভরতপুরের জজানে বিরোধী বলে কিছু নেই
পাঁচমিশালী পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন
কে বিরোধী ?কেই বা পক্ষে? এই পঞ্চায়েতে কে কার পক্ষে আর কে কার বিপক্ষে বুঝতে গিয়ে হিমশিম খাবে আমজনতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে যার বিরুদ্ধে লড়েছে এখন সেই তার বন্ধু। সকলকে পাশে নিয়েই পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের রিনা খাতুন। রামধনু জোটে প্রধান নির্বাচন হল জজান গ্রাম পঞ্চায়েতে। জজান গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৮ । তার মধ্যে তৃণমূল পায় ৫টি আসন, বিজেপি পায় ৬টি আসন, নির্দল পায় ৫টি আসন। কংগ্রেস ও সিপিএম একটি করে আসন পায় । তবে বোর্ড গঠনে দেখা গেল অন্য সমীকরণ ।
1:02-1;19
প্রধান হিসেবে দুজনের নাম প্রস্তাব করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে ।এক তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী রিনা খাতুন এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকেই সাবিনা বেগম। যার ফলে ৭/১১ব্যবধানে প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন রিনা খাতুন। রিনা খাতুন কে সমর্থন করেছেন ৬ বিজেপি সদস্য, ২নির্দল সদস্য ,কংগ্রেসের এক সদস্য ও সিপিএম এর ১ সদস্য। যা রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন সমীকরণ সৃষ্টি করেছে। একদিকে যখন রাজ্য তথা কেন্দ্র স্তরে বিজেপি সিপিএমের বিরুদ্ধে সরব হবার জন্য কারণ খুঁজছে তৃণমূল, তখন পঞ্চায়েত স্তরের তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই পঞ্চায়েত গঠন রীতিমতো অসস্থিতে ফেলেছে জোড়া ফুল শিবির কে। এরপর ই জেলা স্তরের পক্ষ থেকে তৃণমূলের এই সদ্য প্রধান হওয়া রিনা খাতুনের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানের চেয়ার তৃণমূলকে ফাঁকা করে দেয়ার পর উপপ্রধান হয়েছে মাধব মাজি।
0:26-0;42
বোর্ড গঠনের পরে পঞ্চায়েত থেকে বেড়িয়ে এসে অবীর খেলায় মাতলেন বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীরা। এদিন পঞ্চায়েত সদস্য সহ কর্মীরা গেরুয়া ও সবুজ আবীর মেখে মালা পরিয়ে বিজয় উৎসব করে। নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে আকাশে ওড়ে গেরুয়া আর সবুজ রঙের আবীর।
যদিও এই বোর্ড গঠন নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন ভরতপুর ১নং ব্লকের সভাপতি সঞ্জয় সরখেল । তিনি বলেন যিনি প্রধান হয়েছেন তিনি দল বিরোধী কাজ করেছেন। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিভিন্ন দলের সমর্থন নিয়ে প্রধান হয়েছেন। আমি জেলা নেতৃত্ব কে জানিয়েছি তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply