বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পরও
একের পর এক বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে তৃণমূলের
কোথাও হাত মেলাচ্ছে বিজেপির সাথে নির্দল
কোথাও আবার প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়ে দল ছাড়ছে কাস্তে হাতুড়ি
পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতবার পরও ক্রমশ অসস্তি বাড়ছে তৃণমূলের
কথায় আছে এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়ার। নির্বাচন যুদ্ধের চেয়ে যে কম কিছু নয় তা সকলে জানে এবং মানেও । পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে শাসক দল যে যে পন্থা ব্যবহার করেছে তা ইতিমধ্যেই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে অন্য মাত্রা দিয়েছিল। তবে যে জয়ের স্বাদ পেতে এত কাঠ খড় পোড়ানো ,বোর্ড গঠন শুরু হতেই দেখা যাচ্ছে পরীক্ষায় জেদবার পরও মেডেল পাচ্ছে বিরোধীদল। নিরঙ্কুশ ভাবে তৃণমূল জয় পেলেও বিরোধীরা একজোট হতেই হাতছাড়া হচ্ছে একাধিক বোর্ড।
নদিয়ায় রানাঘাট দক্ষিণ জেলার বোর্ড গঠনের প্রথম দিন দেখা গেল তেমনই চিত্র। নবদ্বীপ জোয়ানীয়া বহিরগাছি এবং রামনগর ওয়ান বোর্ড গঠন করল বিজেপি। একই দিন এক ধাক্কায় তিন তিনটি পঞ্চায়েতই হাতছাড়া হলো তৃণমূলের,
২৬ সদস্য বিশিষ্ট বহিরগাছিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ১৭, টিএমসি ৭, একজন কংগ্রেস এবং একজন নির্দলের জয়ী প্রার্থী ছিলেন। বোর্ড গঠন হওয়ার পর দেখা যায় প্রধান হন বিজেপির ক্রিয়া ভদ্র এবং উপপ্রধান হন বিজেপির চিন্ময় সরকার।
অন্যদিকে কুড়ি আসন বিশিষ্ট রামনগর ওয়ানের ক্ষেত্রে, তৃণমূল এবং বিজেপি নটি করে আসন পায়, তবে বোর্ড গঠনের আগেই দেখা যায় কিং মেকারের ভূমিকা নিল নির্দল প্রার্থীরা, দুজন নির্দল সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করার পর বোর্ড সুনিশ্চিত করে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে নির্দল থেকে আসা প্রধান হন তাপসী আঢ্য, উপপ্রধান হন বিজেপির শিবু মন্ডল। আর এর মাধ্যমেই তিন তিনটি বোর্ড হাত ছাড়া হয় তৃণমূলের। যদিও দক্ষিণ হাবিবপুর এখনও তৃনমূলের দখলে।
Byte-0;00-0;29
তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি লোকসভার ট্রেলার হয়ে থাকে তাহলে গোটা সিনেমা যে শাসদলের পক্ষে চাপের হবে তা বলাই বাহুল্য
Leave a Reply