ক্যান্সার হোক কিংবা দুরারোগ্য ব্যাধি এই শিব মন্দিরের প্রসাদ খেলেই পালিয়ে যায় রোগ।
শিবের কৃপাতেই দুঃখ দূর হয় মানুষের।
যা বড় বড় ডাক্তাররা করতে পারেনা
যা করতে পারে না কোন ওষুধ
তেমনি অসাধ্য সাধন করার ক্ষমতা রাখে এই মন্দির।
রহস্যজনক এই মন্দিরের উৎপত্তি জানেনা কেউই।
মন্দিরের এই ইতিহাস অবাক করার মতো,
২০০ বছর ধরে অজানা রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই মন্দিরে, যা প্রতিনিয়ত ভক্তদের বাঁচিয়ে তুলছে রোগ থেকে
শ্রাবণ মাসেই এই মন্দিরে গেলে মেটে সকল মনস্কামনা,
জানেন কোথায় রয়েছে এই মন্দির?
অসাধ্য সাধন করতে বিজ্ঞানের উপর বিশ্বাস রেখেছে মানুষ থেকে বিজ্ঞানী। চিকিৎসাবিজ্ঞানের আশীর্বাদে আজ ক্যান্সার চিকিৎসা করা হয়েছে আরো সহজতর । তবে এখনো বহু রোগ ব্যাধি রয়েছে যাদের ওষুধ আজও আবিষ্কার করতে পারিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান। শুধু কি তাই আজও শেষ ভরসা হিসেবে ভগবানের প্রতি আস্থা রাখার কথা বলে ডাক্তাররা । মুর্শিদাবাদের বড়ঞা র মসড্ডা গ্রাম,এই গোটা গ্রাম নিজেদের যাবতীয় ব্যাধি হলে ছুটে যান মন্দিরে । এক মামুলি অথচ অত্যন্ত জাগ্রত শিব মন্দির । কথিত আছে এই মন্দিরে গেলেই মনস্কামনা হয় পূর্ণ । দূরে চলে যায় রোগ ব্যাধি। এই মন্দিরের প্রসাদেই নাকি রয়েছে চমৎকার। এই মন্দির ঘিরে যত না গল্প রয়েছে তার চেয়েও বেশি রয়েছে ইতিহাস।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই মন্দির কে মুকুটেশ্বর মন্দির নামে চেনেন। আশ্চর্যের বিষয় কেউই কোনদিনই এই মন্দিরকে নিজের চোখে গড়ে উঠতে দেখেনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের পূর্বপুরুষের কাছ থেকে জানতে পারেন প্রায় ২০০ বছর পুরনো এই মন্দির। যা স্থাপন হওয়ার গল্প একেবারে অবাক জনক।
মুকুট ঘোষ নামে গ্রামের এক গো পালক নিয়মিত তার গোয়ালের সমস্ত গরুই ওই জঙ্গলে চড়াতে নিয়ে যেতেন। একদিন তিনি লক্ষ্য করেন, গরু পালের মধ্যে থাকা একটি গাই বাড়িতে এসে দুধ দিচ্ছে না। বেশ কিছুদিন এমনই যাওয়ার পর মুকুট ঘোষ বুঝতে পারেন জঙ্গলের ভেতরেই এমন কিছু ঘটছে যার জন্য দুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তার গরু। অবশেষে গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই খুঁজে পাওয়া যায় সেই উত্তর।জঙ্গলের ভিতরে গিয়ে দেখতে পান বিশেষ এক জায়গাতে নিজে নিজেই দুধ দিচ্ছে গরু, প্রতিদিন একই জায়গায় গরুকে দুধ দিতে দেখে কৌতূহলের বশে মাটি খুঁড়তে করতে শুরু করেন মুকুটঘোষ । অবশেষে খুঁজে পান নিজের প্রশ্নের উত্তর। দেখেন ৩ ফুট মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এসেছে এক শিবলিঙ্গ । এরপরই মুকুল ঘোষ স্বপ্নাদেশ পান মন্দির প্রতিষ্ঠা করবার । কিন্তু অর্থের জন্য আটকে যান মুকুট বাবু । আশ্চর্যজনকভাবে সেই একই রকম মন্দির গড়ার স্বপ্নাদেশ পান বাগডাঙার রাজবাড়ি এরপর রাজা তত্ত্বাবধানে ওই গ্রামে গড়ে ওঠে ২০ ফুট চওড়া ও ২২ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ৩২ ইঞ্চি ইটের গাঁথনির দেওয়াল বিশিষ্ট মুকুটেশ্বরী মন্দির। যার মাহাত্ম্য আজও লোকমুখে শোনা যায়
একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আজও গোটা গ্রামের মানুষ বিশ্বাস রাখে এই মন্দিরের মাহাত্বের ওপর। স্বামীর অসুখ থেকে শুরু করে সন্তানের ব্যাধি এই মন্দিরের ওষুধ পেতে যুদ্ধ জয় করতে পারেন এলাকাবাসী । এই প্রসাদ তারা নিয়ে যান তাদের কাছের মানুষের জন্য। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ এমনি বিশ্বাস করে এসেছে যে এই ওষুধেই সারবে যাবতীয় রোগ। তাদের এই বিশ্বাস আজও বেঁচে রয়েছে লোকমুখে।
Leave a Reply