সংসারের হাল ধরতে টোটো চালক হয়েছিল ১৫-র গায়ত্রী।
বাবার চিকিৎসা, দিদির স্বপ্ন, মার দায়িত্ব
টোটো চালিয়ে একা হাতে সংসার সামলাচ্ছিল সে।
পাশে ছিল না কেউ।
শুধু ছিল কটাক্ষ, বিদ্রুপ
সংবাদে আসতেই পাশে দাঁড়াল শান্তনু ঠাকুর।
যে বয়সে আর পাঁচটা ছেলেমেয়ে নিজের জীবন গড়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে, খেলাধুলা করে । সেই বয়সেই গাইঘাটার গায়ত্রী হালদার সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। নিজের বাবার চিকিৎসা থেকে শুরু করে দিদির পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ,সংসার, ভরণ পোষণ সমস্ত সে কবে থেকেই তার দুই কাঁধে । দীর্ঘদিন ধরেই এই ভার বহন করছে সে। অথচ তার জন্য কোনদিন পাননি বাহবা, প্রশংসা, কেউ বাড়িয়ে দেয়নি সাহায্যের হাত । উপরন্তু মিলেছে বিদ্রুপ। তবে বছর ১৫-র গায়ত্রী কোনদিনও আশা করেনি পাশে দাঁড়াবে কেউ। অপ্রত্যাশিতভাবে সেই গায়টির পাশে সেই দাঁড়ালো কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সংবাদমাধ্যমে গায়ত্রী কথা শুনেই ছুটে আসেন শান্তনু ঠাকুর।
Byte
এদিন শান্তনু ঠাকুর গায়ত্রির পাশে থেকে তার বাবার চিকিৎসার দায়ভার নিলেন শুধু তাই নয়, দিদির পুলিশে চাকরির ইচ্ছা পূরণের জন্যও তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি নবম শ্রেণীর গায়ত্রী হালদারের পড়াশোনা ক্ষেত্রে কোন রকম যাতে সমস্যা না হয় সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
Byte
অন্যদিকে বহুদিন ধরে এই সংগ্রামের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাশে পেয়ে নতুন অক্সিজেন পেয়েছে গায়ত্রী এবং তার পরিবার। অবশেষে কেউ পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের , অবশেষে দুঃখ বুঝেছে কেউ । এখনো যেন নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছে না তা তারা।গায়ত্রী এবং তার পরিবারের কাছে এক কথায় শান্তনু ঠাকুর ঈশ্বরের আরেক রূপ হয়ে দেখা দিয়েছেন । শান্তনু ঠাকুর কে পাশে পেয়ে আবারো জীবনকে সুন্দর এ কথা বলতে ইচ্ছা করছে বছর ১৫ র গায়ত্রী এবং তার পরিবারের।
Leave a Reply