জানেন বেশিরভাগ স্ট্রোক বাথরুমেই কেন হয়? কি এমন আছে বাথরুমে যার জন্য তৈরি হয় স্ট্রোকের ঝুঁকি? সামনে এলো ৫টি মারাত্মক কারণ
জানেন বেশিরভাগ স্ট্রোক
বাথরুমেই কেন হয়?
কি এমন আছে বাথরুমে
যার জন্য তৈরি হয় স্ট্রোকের ঝুঁকি?
বেড়ে যায় প্রাণ সংকটের সম্ভাবনা?
বাথরুমের ভিতরে
কোন ভুলগুলো স্ট্রোকের জন্য দায়ী?
সামনে এলো ৫টি মারাত্মক কারণ
শুনলেই আঁতকে উঠবেন
স্ট্রোক! নাম শুনলেই অনেকেই ভয়ে কাঁপেন। ইদানিং স্ট্রোকের কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। বন্ধু, বান্ধব কিংবা পরিচিত মহল বেশির ভাগের মুখেই শুনবেন স্ট্রোকের বলি হয়েছেন তাদেরই কাছের কিংবা দূরের কেউ। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এই মুহূর্তে স্ট্রোক সবচেয়ে বেশি হচ্ছে বাথরুমে। স্নান করার সময় কিংবা টয়লেট করতে গেলেই স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। বিষয়টি একেবারেই সাধারণ নয়। খুবই চিন্তার একটি বিষয়। আচমকা বাথরুমে কেন বেড়ে গেল স্ট্রোকের ঝুঁকি। এই তথ্যই সামনে নিয়ে এলো কানাডার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল। তারা মোট ৫টি কারণকে সামনে রেখেছেন। এই ৫টি কারণেই নাকি বাথরুমে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এক নজরে দেখুন কারণগুলো কি কি –
এক, ভুল পদ্ধতিতে স্নানঃ গবেষকরা সবার প্রথম কারণ দেখিয়েছেন, বাথরুমে ভুল পদ্ধতিতে স্নান করা। স্বাভাবিক সময়ে, শরীরে রক্ত সঞ্চালন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়ে থাকে। স্নানের সময় মাথায় কিংবা গায়ে হঠাৎ জল লাগলে, শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। এই সময়টা খুব বিপদজনক। এক্ষেত্রে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, বাথরুমে ঢুকেই সবার প্রথমে মাথায় জল দিলেই রক্ত দ্রুত মাথায় উঠে যায়। এর ফলে কৈশিক ও ধমনী একসঙ্গে ছিড়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ এই ফলেও ঘটে মারণ স্ট্রোক। তাই স্নানের সময় আগে মাথায় নয়, পায়ের পাতায় জল দেওয়া পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দুই, কোষ্ঠকাঠিন্যঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও বাথরুমে স্ট্রোকের চান্স অনেক বেশি। কারণ হিসেবে গবেষকরা জানাচ্ছেন, যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তারা টয়লেটে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে বাথরুম না হওয়ায় শরীরের ওপর অতিরিক্ত প্রেসার তৈরি করেন। এই প্রেসার শরীর ও মস্তিষ্ক উভয়ের জন্যই ক্ষতিকারক। এই কারনেও স্ট্রোক হয়ে থাকে। তাই এই সব ক্ষেত্রে চাপাচাপি না করে ধীরে সুস্থে শৌচকর্ম করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তিন, উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপঃ যাদের এই দুটি সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও স্ট্রোকের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বাথরুমে অনেক সময় দরজা বন্ধ থাকলে এই ধরনের পেশেণ্টের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের চান্স বেড়ে যায়।
চার, ডায়াবেটিসঃ বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও স্ট্রোকের একটা ঝুঁকি থাকে। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীকে ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হয়। ফলস্বরূপ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী বাথরুমে বেশি স্ট্রোক করে থাকেন।
পাঁচ, রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলঃ যাদের রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের জন্য স্ট্রোক ছায়া সঙ্গী। এই ধরনের পেশেণ্টের ক্ষেত্রে যে কোনও সময় স্ট্রোক হতে পারে। এদের ক্ষেত্রেও বাথরুমে স্ট্রোকের চান্স বেশি।
Leave a Reply