প্রতিদিন গ্রামে হানা পড়ছে চিতাবাঘের
কোনদিন ছাগল কোনদিন নিয়ে যাচ্ছে মুরগি
পোষ্য পাহারা দিতে গিয়ে পা কাঁপছে মানুষের
চিতাবাঘ ধরতে বসানো হলো জাল
জাল বৃষ্টি এ মানুষকে খোকে ধরার ফাঁদ
জলপাইগুড়ি পাতাবাড়ি চা বাগানে মানুষদের কাছে নতুন আতঙ্ক। দিবারাত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে চিতাবাঘ । রাত হতেই বাড়ছে হানা । কখনো ছাগল ,কখনো মুরগি, টেনে নিয়ে যাচ্ছে চোখের নিমেষে। এমনকি বাদ পড়ছে না কুকুরও। পাহারা দেবে কে ?বুকে ভয় যে সবারই । পাহারা দিতে গিয়েও পা কাঁপছে গ্রামবাসীদের । এই বুঝি চিতা এলো। বাড়ি থেকে বেরোনো দায় হয়েছে গ্রামের ছেলে মেয়েদের। কিছু একটা ব্যবস্থা করতেই অবশেষে বুদ্ধি করে খাঁচা বসাবার সিদ্ধান্ত নেয় গ্রামবাসীরা।২৪ জুলাই বাগানের ফাইভ বি সেকশনে ওই খাঁচা বসানো হয়। তারপরও কেটে গিয়েছে সাত দিন। অথচ খাঁচায় ধরা পড়িনি কেউ । যতদিন যায় ততই বাড়তে থাকে চিন্তা। অবশেষে হঠাৎই সেই দিন ঘুম থেকে উঠতেই আত্মারাম খাচা ছাড়া হয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের । হঠাৎ দেখতে পারেন খুব কাছ থেকে আওয়াজ হচ্ছে ফোঁসফোঁস মানুষের নয় কোন পশুর আওয়াজ ।
খাঁচা বসানোর সাতদিন পরেই খাঁচা বন্দি হল লেপার্ড।।মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা খাঁচা থেকে লেপার্ড এর তর্জন গর্জন শুনতে পায়। কাছে গিয়ে দেখে একটি পূর্ণবয়স্ক লেপার্ড খাঁচায় বন্দী হয়ে ছোটাছুটি করছে। এরপর খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় হয় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরের খুনিয়া স্কোয়াডে।
সাত দিন পর আজ ওই খাঁচায় খাঁচা বন্দী হয় লেপার্ড। অবশেষে লেপার্ড খাঁচা বন্দি হওয়ায় কিছুটা আতঙ্ক কমলো বাগান শ্রমিকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। খুনিয়া স্কোয়াডের রেঞ্জার সজল কুমার দে বলেন, এটি একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ লেপার্ড। এটিকে গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
Leave a Reply