এই বাড়িতে 10 বছর যাবত নেই বিদ্যুৎ সংযোগ
কুলপির আলোতে হয় রান্না
0:12-0:22bou
আলু না থাকাতে বাচ্চারা পড়তে বসে পেট্রোল পাম্পের আলোতে
0;05-0;16komola
এই বিদ্যুতের জন্যই আত্মহত্যা করেছিল বাবা
বিদ্যুতি এই পরিবারের কাছে অভিশাপ
3;00-2;04 khoyri
একবিংশ শতাব্দীর দোরগোড়ায়
দাঁড়িয়ে যখন প্রযুক্তি আকাশ ছোঁয়া ।চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে মানুষ । ঠিক তখনই জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে পাহাড়পুর মোড় সংলগ্ন এলাকায় এই পরিবার যেন অন্য জগতে বাস করছে। ঘরের ভেতর নেই আলো। নেই কোন বিদ্যুৎ। কুলপির আলোতে রান্না করেন গৃহবধূ। সবিতা তন্ত্রের স্বামী ,আপন তন্ত্র । দিনমজুরের কাজ করে যৎসামান্য রোজগার করে । তাই দিয়ে চলে সংসার । তবে যা ইনকাম তাতে তিন ছেলেমেয়েকে পাখার আলোয় রেখে আলো জ্বালিয়ে পড়াশোনা করানো অসম্ভব। তাই পাশে থাকা পেট্রোল পাম্পের আলোতেই পড়াশোনা করে বড় হচ্ছে ছেলেমেয়েরা।
1:37-2;01 bou
দশ বছর আগে এই বিদ্যুতের জন্যই মারা গিয়েছিল আপন তন্ত্রের বাবা । মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পাড়াতেই আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। সেই বিল মেটাতে না পাড়াতেই ১০ বছর আগে কেটে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ ।
0;51-1;06 khoyeri
তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আর কোনদিনই বাড়িতে ঢোকেনি বিদ্যুৎ। দেখতে দেখতে আপন তন্ত্রের ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে পঞ্চম শ্রেণী এবং মেয়ে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে ।
নিজের এলাকায় রয়েছে এমন এক পরিবার ,দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই বেঁচে আছেন তারা । এ কথা জানতই না প্রশাসন। এই দৃশ্য হঠাৎই নজরে আসে সদ্য পঞ্চায়েত ভোটে পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থী বাবলু বসাকের। তিনিও এ ধরনের ঘটনায় হতবাক। সাথে সাথে এই পরিবারটির সাথে কথা বলে পুনরায় বিদ্যুৎ কানেকশন সহ সমস্ত রকমের সাহায্য সহ পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
1;15-1;42 sada floral
তবে প্রশ্ন একটাই, এই সময় দাঁড়িয়ে এখনও রাস্তার আলোয় পড়াশোনা করতে হয়। সদ্য পঞ্চায়েত ভোট সমাপ্তি হলো। এত বছর ধরে কারো চোখে পড়লো না এ দৃশ্য। প্রশাসন, পঞ্চায়েত বা প্রধান কোনভাবে কি এই পরিবারটির খোঁজখবর নিয়ে পাশে দাঁড়াতে পারত না?
Leave a Reply