মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহগুলো আওয়াজ শুনেছেন কখনও? বিজ্ঞানীরা নিজের কানে শুনে ভয় পেয়েছিলেন
মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহগুলোর
আওয়াজ শুনেছেন কখনও?
চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী
এদেরও নিজস্ব আওয়াজ রয়েছে!
এদের ভাষাও আছে, কথাও বলে!
বিজ্ঞানীরা নিজের কানে
শুনেছেন সেই শব্দগুলো!
বীভৎস, ভয়ানক, বিকট!
যা শুনে ভয় পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা!
একবার শুনে দেখুন তো
নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারবেন না!
ভয়ে কাঁপুনি দেবে আপনার সারা শরীর!
সৌরমণ্ডল সম্পর্কে আমরা কম বেশি সকলেই জানি। বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে আমরা সৌরমণ্ডলের বিভিন্ন গ্রহের ছবিও দেখেছি। কিন্তু আপনারা কি কখনও ভেবেছেন সৌরমণ্ডলের বিভিন্ন গ্রহগুলোরও নির্দিষ্ট কোনও আওয়াজ থাকতে পারে। গ্রহগুলি কথা বলতে পারে! হ্যাঁ, সৌরমণ্ডলের বিভিন্ন গ্রহগুলোরও নির্দিষ্ট কিছু আওয়াজ রয়েছে। যা হয়ত আপনার বিশ্বাসই হবে না। সৌরমণ্ডলের রহস্য জানতে,মহাকাশে অনেক মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে। এই মহাকাশযানগুলোতে এমন কিছু যন্ত্র রয়েছে, যেগুলো মহাকাশে ভাসমান বিভিন্ন গ্রহের ছবি তোলার পাশাপাশি, গ্রহগুলোর শব্দগুলিকেও ক্যাপচার করে। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে, আমরা পৃথিবীতে থাকা সমস্ত জীবন্ত প্রাণীর যেমন শব্দ রয়েছে, একইভাবে এই সৌরমণ্ডলে বিদ্যমান প্রতিটি গ্রহ নক্ষত্রেরও নিজস্ব ভাষা রয়েছে, নিজস্ব আওয়াজ রয়েছে। পৃথিবী থেকে দাঁড়িয়ে আকাশকে শান্ত মনে হলেও, সুবিশাল আকাশ আদৌতেও শান্ত নয়। প্রতিটা মুহূর্ত আকাশে নানা রকম আওয়াজ ও শব্দ তৈরি হচ্ছে। যা আমরা সাধারণ মানুষ শুনতে না পেলেও, বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে সেগুলো শুনতে পাচ্ছে। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাব সোলার সিস্টেম থেকে পাওয়া সেই সমস্ত ভিন্ন ভিন্ন আওয়াজগুলো সম্পর্কে যা আপনাদের অবাক করে দেবে। এই শব্দগুলো আপনি কোথাও শুনতে পাবেন না। আর এই শব্দগুলো শুনতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। চলুন শুরু করা যাক-
১, সূর্যের আওয়াজঃ সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ সূর্য। একে পৃথিবীর প্রাণ কেন্দ্রও বলা হয়। পৃথিবী থেকে সূর্যকে দেখলে মনে হয় অনেক শান্ত মনে হয়। কিন্তু বাস্তবে সূর্য ততটাও শান্ত নয়। মহাকাশে শূন্যস্থান থাকায়, শব্দ চলাচল করতে পারে না বলেই আমরা সেই আওয়াজ শুনতে পারি না। কিন্তু একবার ভাবুন মহাকাশে যদি বায়ুমণ্ডল থাকত তাহলে কি হত? তাহলে আমরা সূর্যের আওয়াজও শুনতে পেতাম। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে সূর্যের নিজস্ব আওয়াজ রয়েছে। যা অনেক বেশি জোরালো। ইউরোপিয়ান স্পেস সেন্টার ও নাসা এই দুই মহাকাশ সংস্থা বছরের পর বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে সূর্যের আওয়াজ আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। চলুন শুনে নেওয়া যাক সূর্যের আওয়াজ –
( ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড )
সূর্যের আওয়াজ কতটা ভয়ংকর আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যের ভিতর অনেক ধরনের ওয়েব ওঠানামা করে, একই সাথে যাতায়াত করে। এগুলো খালি চোখে দেখা মুশকিল। পৃথিবী থেকে সূর্যকে স্থির ও শান্ত মনে হলে, বাস্তবে সূর্য একটি সুপার হিটেড প্লাজমা। যার ভিতরে পারমানবিক বিক্রিয়া চলতে থাকে। সূর্যের প্রতিটি কোষ ১০০ থেকে
৩০০ ওয়াট এনার্জি প্রতি স্কোয়ার মিটারে উৎপন্ন করে। এই আওয়াজ পুলিশের সাইরেনের আওয়াজের সমান। আর যেহেতু সূর্যের আকার পৃথিবীর আকারের তুলনায় ১৩ লক্ষ গুণ বড়, এই অবস্থায় কল্পনা করে দেখুন, ১৩ লক্ষ বড় বড় পুলিশের সাইরেন যদি একসাথে বাজে তাহলে কি হবে? এখান থেকেই স্পষ্ট সূর্য থেকে উৎপন্ন আওয়াজ আমাদের ভাবানারও উরধে।
২, চাঁদের আওয়াজঃ সূর্যের আওয়াজ তো শুনলেন, এবার কি চাঁদের আওয়াজ শুনতে চান? তাহলে জানিয়ে রাখি, চাঁদের কোনও আওয়াজ নেই। পৃথিবীর এই উপগ্রহে কোনও জলবায়ু নেই। ফলে চাঁদের কোনও নিজস্ব আওয়াজও নেই। কিন্তু সৌরমণ্ডলের অন্যান্য সমস্ত গ্রহগুলোর নিজস্ব শব্দ রয়েছে।
৩, বুধ গ্রহের আওয়াজঃ সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধ গ্রহ। এটি সূর্যের সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ। অত্যন্ত গরম এই গ্রহ। এই গ্রহেরও সেইভাবে কোনও আওয়াজ পাওয়া যায়নি। তবে বুধ গ্রহের নিকটে কান পাতলে এই গ্রহের ভাইভরেশন শোনা যাবে। অনেকটা এই রকম-
( ৪ মিনিট ৩২ থেকে ৪ মিনিট ৩৯ )
৪, শুক্র গ্রহের আওয়াজঃ পৃথিবীর সিস্টার প্ল্যানেট শুক্র গ্রহ। এই গ্রহে কারণ ডাই অক্সাইড থাকায়, এই গ্রহে আওয়াজের মাত্রা অনেক ভারী। অনেকটা জলের ভিতর কথা বললে যেমন শোনায় তেমনটা। শক্র গ্রহে বজ্রপাতের পরিমাণ বেশি। এই কারণে শুক্র গ্রহের আওয়াজে বজ্রপাতের আওয়াজও শোনা যায়। বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে শুক্র গ্রহের আওয়াজ। অনেটা এই রকম-
(.৫ মিনিট ১৭ সেকেন্ড থেকে ৫ মিনিট ২৪ সেকেন্ড )
৫, পৃথিবীর আওয়াজঃ অবাক হচ্ছেন তাই তো? ভাবছেন পৃথিবীরও আওয়াজ হয় নাকি! পৃথিবী নিঃশব্দে সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে। কিন্তু আমরা পৃথিবী থেকে পৃথিবীর ঘোরার কোনও আওয়াজ পাই না। কিন্তু বিজ্ঞানের চোখে দেখলে, বাকি গ্রহদের মত পৃথিবীরও ঘোরার আওয়াজ রয়েছে। সূর্যের চারিদিকে ঘোরার সময় পৃথিবীর আওয়াজ হয়। পৃথিবী ঘোরার আওয়াজ অনেটা এই রকম-
( ৫ মিনিট ৪৭ থেকে ৫ মিনিট ৫২ )
Leave a Reply