চাঁদের মাটিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের খোঁজ পেল ইসরো! অবাক গোটা বিশ্ব, কোটি কোটি টাকার বিনিময়েও মিলবে না এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
চাঁদের মাটিতে
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের খোঁজ পেল ইসরো!
অবাক গোটা বিশ্ব!
পাওয়া গিয়েছে এক সঙ্গে নয় নয়টি
মহামূল্যবান উপাদান!
কোটি কোটি টাকার বিনিময়েও
মিলবে না এই উপাদানগুলো!
কেউ কল্পনাও করতে পারেনি
চাঁদের বুকে এমন উপাদানের খোঁজ মিলবে!
এই উপাদানগুলোর হাত ধরেই
চাঁদে শুরু হবে মানুষের বসবাস!
ঠিক কি কি উপাদান পাওয়া গেল?
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামতে না নামতেই তাক লাগাল ভারত। যা এক কথায় দুর্দান্ত,দুর্ধর্ষ! গোটা বিশ্ব শিহরিত। চন্দ্র পাড়ায় অভাবনীয় বাজিমাত ভারতের। এবার চাঁদের মাটিতে সবচেয়ে দামী, বহুমূল্যবাণ উপাদানের খোঁজ পেল চন্দ্রযান ৩। এমন উপাদান যা হয়ত ভবিষ্যতে পাল্টে দেবে মহাবিশ্বের ইতিহাস। কোটি কোটি টাকার বিনিময়েও এই উপাদান পাওয়া যাবে। এই উপাদানের হাত ধরেই হয়ত আগামীতে জন্ম নেবে মানুষ বসবাসের আরেকটি গ্রহ। বহুমুল্যবাণ এই উপাদানটি আর কিছুই নয়, এটি হল অক্সিজেন। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অক্সিজেনের খোঁজ পেয়েছে চন্দ্রযান ৩। বহু বছর ধরে মানবজাতি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে আসছে, চাঁদে কি অক্সিজেন আছে? গোটা বিশ্বের আলোচিত এই প্রশ্নের উত্তর সামনে নিয়ে এলো ভারত। আর এই খবরটি নিশ্চিত করেছে,
চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। ভারতের সাফল্যে শোরগোল গোটা বিশ্বজুড়ে।
কীভাবে অক্সিজেনের খোঁজ পেল চন্দ্রযান ৩?
এই কাজটি করছে, চন্দ্রযান ৩ এর রোভার প্রজ্ঞানের গায়ে যুক্ত ‘লেসার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কপি’ নামক একটি পেলোড। এই পেলোডের হাত ধরেই যুগান্তকারী আবিষ্কারটি করেছে চন্দ্রযান ৩। ‘লেসার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কপি’ হল একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। যা লেসার পালসের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণের গঠন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এটিই চাঁদে অক্সিজেনের হদিশ পেতে সাহায্য করেছে রোভার প্রজ্ঞানকে।
চন্দ্রযান ৩ হন্য হয়ে খুঁজছে আরও একটি মূল্যবান উপাদান! সেটি কি জানেন?
সেটি হল হাইড্রোজেন। একদমই তাই। অক্সিজেনের পর ইসরোর টার্গেট এখন হাইড্রোজেন। একবার হাইড্রোজেন পেলেই দুইয়ে দুইয়ে চার। অক্সিজেন প্লাস হাইড্রোজেন, মানে জলের হদিশ। আর একবার জলের সন্ধান পেলেই বুঝতে পারছেন কোনদিকে যাবে মানব ভবিষ্যৎ! হয়ত এর পর চাঁদই হবে মানুষের দ্বিতীয় বাসস্থান।
শুধুই কি অক্সিজেন? আর কী কী খুঁজে পেল চন্দ্রযান-৩ দেখুন-
নাহ শুধু অক্সিজেন নয়, অক্সিজেনের পাশাপাশি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে হদিশ পাওয়া গিয়েছে সালফার, আয়রন, সিলিকন, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যালুমিনয়ামের মতো একাধিক ধাতু সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের সন্ধান। একই সাথে চাঁদের গায়ের তাপমাত্রাও বের করে ফেলেছে ইসরো। চাঁদের মাটির তলার তাপমাত্রা নাকি ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সমস্ত তথ্যই হয়ত আগামীতে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নয়া ইতিহাস রচনা করবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
Leave a Reply