টায়ার

গাড়ি চলতে চলতে মাঝ রাস্তায় হঠাৎ করেই টায়ার পাংচার হওয়া মানেই হাজির হয় এক উটকো ঝামেলা। যার ফলে সমস্যার মুখে পড়তে হয় গাড়ি চালক থেকে যাত্রী সকলকেই। ছোটবেলায় কম বেশি সকলেই হয়তো লক্ষ্য করেছেন টায়ার পাংচার হওয়ার পর সাইকেলের দোকানে পাংচার সারাতে। কিন্তু এখন প্রযুক্তির কল্যাণে এখন অনেক সুযোগ-সুবিধা এসে গিয়েছে। এখন টায়ারের প্রসঙ্গে উঠলেই শোনা যায় মূলত দু’ধরনের টায়ারের কথা। একটি টিউবলেস টায়ার এবং আরেকটি টিউব টায়ার।

এই টিউবলেস টায়ার আসার ফলে এখন গাড়ির টায়ার পাংচার হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। জানা যায় ১৯৫০ সাল নাগাদ আমেরিকার BF Goodrich নামক একটি টায়ার সংস্থার হাত ধরে প্রথম এই টিউবলেস টায়ারের প্রচলন শুরু হয়।  যদিও ভারতে এর প্রচলন  শুরু হয় অনেক পরে।  ১৯৯০ সালে ভারতে প্রথম আসে এই টিউবলেস  টায়ার। এখন এই টিউবলেস টায়ার বেশ জনপ্রিয়। তাই অনেক সংস্থাই এখন  টিউব টায়ারের  জায়গায় এই টিউবলেস টায়ার  ব্যবহার করছেন।

তবে অনেক গাড়ির  চালকদের মনে প্রশ্ন থাকে তারা যানবাহনের জন্য আসলে টিউবলেস টায়ার নাকি টিউব টায়ার কোন ধরণের চাকা কিনবেন?  অনেকে এই দুই টায়ারের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কেও সেভাবে জানেন না। বাজারে দুই ধরনের টায়ার থাকলেও এই দুয়েরই রয়েছে বেশ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা। তবে ইদানিং বেড়েই চলেছে টিউবলেস টায়ারের ব্যবহার।

টিউবলেস টায়ারের সুবিধা 

যার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো এই টিউবলেস টায়ার গুলি পাংচার প্রতিরোধ করার জন্য রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই টায়ারগুলি অনেক বেশি নিরাপদ এবং উন্নত মানের হয়। তেমনি টেকসই ও হয়ে থাকে।  এটি ওজনেও  অনেক হালকা হয়। যার ফলে গাড়ি বা বাইকে ভালো মাইলেজ পাওয়া যায়। তাছাড়া এই টায়ার গুলির খুব একটা রক্ষণাবেক্ষনের  প্রয়োজন হয় না। দিনে দিনে টিউব  টায়ারের থেকে টিউবলেস টায়ারের জনপ্রিয়তা অনেক বাড়ছে। তাই আগের থেকে এই টায়ারের দাম অনেকটা কমে গিয়েছে।

এই টায়ারগুলি হয় টিউবহীন। এখানে অভ্যন্তরীণ বাতাস বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয় না। তবে টায়ার এবং রিমের মধ্যে একটি এয়ারটাইট সিল থাকে যা এয়ার লিকেজ প্রতিরোধ করে।

এই টিউবলেস টায়ারের বিশেষ গুণ হল এই টায়ার  পাংচার হওয়ার পরেও গাড়ি চালানো যায়। এই টায়ার গুলি টিউববিহীন হওয়ায় এখানে অভ্যন্তরীণ টিউবটি বাতাস বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয় না। তবে টায়ার এবং রিমের মধ্যে একটি এয়ারটাইট সিল থাকে। যা এয়ার লিকেজ প্রতিরোধ করে। এই কারণেই টায়ারে ছোটখাটো পাংচার থাকলেও তা থেকে বাতাস বের হয় না। ফলে পাংচার টায়ার দিয়েও অনেকটা দূরত্ব অতিকম  করা যায়। এমনকি ভালো মাইলেজও পাওয়া যায়।

টিউবলেস টায়ারের অসুবিধা

তবে এই টিউবলেস টায়ারের সবথেকে বড় অসুবিধা হলো এই টায়ার গুলির দাম টিউব টায়ারের থেকে অনেকটাই বেশী হয়। এছাড়া এই টায়ার শুধুমাত্র সেই সব রিমেই ফিট হয় যেগুলি বিশেষ ভাবে টিউবলেস টায়ারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে।

টিউবলেস টায়ার বাজারে আসার পরেও কেন টিউব টায়ার ব্যবহার হয়?

টিউবলেস টায়ার বাজারে আসার অনেকদিন আগে থেকেই বাজারে রয়েছে এই টিউব টায়ার। এই টায়ারের সবথেকে সুবিধা হল এই টায়ার গুলি খুবই সস্তায় পাওয়া যায়। এই টায়ার গুলির মধ্যে নির্দিষ্ট টিউব থাকে। এই টায়ার গুলি যেমন সস্তায় পাওয়া যায়,তেমনি প্রতিস্থাপন করাও যায় কম খরচে। তবে এই  টায়ারের সব থেকে বড় অসুবিধা হলো এই টায়ার  পাংচার হলে সমস্যায় পড়তে  হতে পারে। কারণ পাংচার হয়ে গেলে টায়ার  দীর্ঘস্থায়ী হয় না।  অভ্যন্তরীণ টায়ার  ঠিক করে নেওয়া যায় খুব সহজেই খরচও কম হয়। তাছাড়া ভারতের বড় বড় শহরে এই টায়ারেরই প্রচলন রয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *