চাঁদে কি সত্যিই জমি কেনা যায় ? কে এই চাঁদের মালিক ? চাঁদে জমি কেনার পেছনে রয়েছে বড় গল্প ?

চাঁদে কি সত্যিই জমি কেনা যায় ? কে এই চাঁদের মালিক ? চাঁদে জমি কেনার পেছনে রয়েছে বড় গল্প ?

চাঁদে কি সত্যিই
জমি কেনা যায় ?

কে এই চাঁদের মালিক?
কতই বা দাম চাঁদের জমির?

আপনিও কি পারবেন
চাঁদে জমি কিনতে ?

কিভাবে কেনা হয় চাঁদে জমি ?

এই চাঁদে জমি কেনার পেছনে
রয়েছে এক বড় গল্প
যা শুনলে চমকে উঠবেন আপনি

সংবাদের শিরোনামে এখন শুধুই চাঁদ। কারণ একটাই, সম্প্রতি ভারতের চন্দ্রযান-৩র সাফল্য। অনেকেরই ফের একবার চাঁদ সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ছে।
* অনেক সময়ই শুনতে পাওয়া যায় বড় অভিনেতা, বাবসায়িরা জমি কিনেছেন চাঁদে । কিন্তু কখন ভেবে দেখেছেন কীজন্য জমি কেনেন তারা ? চাঁদে কি আদৌ বসবাস সম্ভব ? আর কিভাবেই বা জমি কেনেন তারা ?

আসলেএমন অনেক কোম্পানি আছে যারা চাঁদে জমি বিক্রি করে। মূলত দুটি কোম্পানী যেমন “লুনা সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল লুনার ল্যান্ডস রেজিষ্ট্রি” ।এরাই এই বেচা- কেনার কাজ করে। এরাই করে মূল্য নির্ধারণ । চাঁদের এক একর জমির দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩,০৮০ টাকা।

কিন্তু আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইন বলছে অন্য কথা। পৃথীবির কোনো দেশের অধিকার নেই মহাকাশের ওপর । চাঁদ সহ কোনো গ্রহ – উপগ্রহই কোনো দেশের বা ব্যাক্তির মালিনাকাধীন নয়। এই বিষয়ে আইনে রয়েছে বিশেষ পাঁচটি চুক্তি ও কনভেনশন।
এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়। যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইন স্বীকৃতি দেয় না চাঁদের জমি কেনাকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই কোম্পানিগুলির যুক্তি রয়েছে। মহাকাশ আইন কোনো দেশকে মালিকানা দেয় না। কিন্তু ব্যক্তি বিশেষে দেয়। তবে যাই হোক। আসলে যে চাঁদে জমি কেনা শুধুই প্রহসন তা মহাকাশ আইনের দ্বারা স্পষ্ট।

এই প্রসঙ্গে, মহাকাশ আইনের বইয়ের লেখক ডক্টর জিল স্টুয়ার্টও দ্য মুন এক্সিবিশন নামক একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেন। “এই চাঁদে জমি কেনার ব্যাপারটা একটা ফ্যাশন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে”।

তবে পরিশেষে একথা বলতেই হয়। যে বিষয়কে আইন স্বীকৃতি দেয় না । সেই বিষয়ের কোনো মূল্য থাকতে পারে না। চাঁদে জমি কেনার ব্যাপারটাও খানিকটা তাই!।।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *