এক নজরে দেখুন মুখ্যমন্ত্রীর ৫টি পছন্দের সিরিয়ালের নাম! যেগুলো ১ দিন না দেখলেই
ঘুম আসে না মমতার, ভুলে যান নাওয়া-খাওয়া
এক নজরে দেখুন
মুখ্যমন্ত্রীর ৫টি পছন্দের সিরিয়ালের নাম!
যেগুলো ১ দিন না দেখলেই
ঘুম আসে না মমতার!
ভুলে যান নাওয়া-খাওয়া!
রাজনীতি শেষ করেই
রোজ দেখেন এই ৫টি সিরিয়াল!
স্টার জলসা নাকি জি বাংলা
কোন চ্যানেলের ভক্ত বাংলার দিদি?
রামপ্রসাদ নাকি নিম ফুলের মধু
কোন কোন সিরিয়াল রয়েছে দিদির লিস্টে?
তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শাসক দলের নেত্রী! তাই বলে কি তিনি সিরিয়াল দেখবেন না? বাকি ৫টা মহিলার মতন তিনিও সিরিয়াল দেখতে ভালোবাসেন। এই কথা অবশ্য কারোরই অজানা নয়। বহুবার, বহু জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী নিজের মুখে সিরিয়াল দেখার কথা স্বীকার করেছেন। সন্ধ্যা বেলা সময় পেলে তিনিও রিমোট হাতে টিভির সামনে বসে পড়েন। একই সাথে সিরিয়ালের একটি পর্ব দেখতে না পেলে আমাদের মা, কাকিমাদের মতন তিনিও উতলা হয়ে পড়েন। রাজনীতির পাশাপাশি সিরিয়ালেও যে তার ভালো রকম ঝোঁক রয়েছে এই নিয়ে রাখঢাক নেই মুখ্যমন্ত্রীর। আবারও তার সিরিয়াল প্রেমের কথা সামনে আনলেন টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে। প্রতি বছরের টলি পাড়ার তারকাদের সম্মান জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের মঞ্চেই নিজের প্রিয় ধারাবাহিকের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায়,
‘ইষ্টি কুটুম’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘নিম ফুলের মধু’, ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘গুড্ডি’, ‘রামপ্রসাদ’ এর ধারাবাহিকের নাম।
শুধু সিরিয়ালগুলো নামই করেননি একই সাথে প্রশংসা করেছেন কলা কুশলীদেরও। বাংলা সিরিয়ালের তারকাদের অভিনয় বেশ মনোমুগ্ধকর সেকথাও নিজের মুখে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান-
’আমাদের শিল্পীদের এত গুণ, যে আমার বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি আমাদের শিল্পীরা মুম্বইয়ের মতো বড় ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নেবে। তারা আমাদের সত্যিই গর্বের।’
একই সাথে সিরিয়াল দেখতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে যে অস্থিরতা তৈরি হয় সেই কেচ্ছাও ফাঁস করে তিনি বলেন-
‘সিরিয়াল যদি একদিন দেখতে না পারি, কেমন যেন হয়। পরদিন কী দেখাবে তা অবশ্য আমি বলে দিতে পারি। নিজের মতো করে ভেবে নিতে পারি।’
সিরিয়ালের প্রশংসার পাশাপাশি, সমালোচনাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন-
‘সিরিয়ালে তিনবার বিয়ে হচ্ছে। আসলে পজিটিভটাকে নেগেটিভ করে দেওয়া সিরিয়ালটাকে হয়তো বাড়িয়ে দেয়। আর কেউ সিরিয়াল ছেড়ে চলে গেলে আপনারা তাঁকে মেরে দেন। সেটাও আমি বুঝতে পারি।’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় হাসির রোল পড়ে দর্শক আসনে।
Leave a Reply