সেদিন মহাকাশে কি হয়েছিল কল্পনা চাওলার সাথে? কীভাবে মহাকাশে হারিয়ে গিয়েছে সে? কল্পনা করুণ কাহিনী, কাঁদতে বাধ্য করবে আপনাকেও

সেদিন মহাকাশে কি হয়েছিল কল্পনা চাওলার সাথে? কীভাবে মহাকাশে হারিয়ে গিয়েছে সে? কল্পনা করুণ কাহিনী, কাঁদতে বাধ্য করবে আপনাকেও

সেদিন মহাকাশে কি হয়েছিল
কল্পনা চাওলার সাথে?

কীভাবে মহাকাশে হারিয়ে গিয়েছিল
কল্পনা চাওলা ও তার দল?

সফল হয়েও কেন পৃথিবীতে
ফিরতে পারল না?

সর্বনাশ জেনেও
কেন চুপ ছিল নাসা?

কল্পনা চাওলার করুণ কাহিনী
কাঁদিয়ে দেবে আপনাকেও

কল্পনা চাওলা। নামটি এর আগে হয়ত অনেক বার শুনেছেন। তিনি ভারতের প্রথম মহিলা, যে নিজের গ্রহ ছেড়ে মহাশুন্যে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু ১ টা ভুলের কারণে কল্পনা চাওলা মহাশুন্য থেকে আর নিজের গ্রহে ফিরতে পারেননি। ফিরতে পারেননি পরিবারের কাছে। কল্পনা চাওলার সঙ্গে মহাকাশে ঠিক হয়েছিল?মহাকাশে কি কারণে, কীভাবে হারিয়ে যায় কল্পনা চাওলা? আজকের প্রতিবেদনে জানতে চলেছি সেই তথ্য।

কল্পনা চাওলার জন্ম ১৭ মার্চ ১৯৬২ সালে, কারনালে হয়েছিল। যেটা বর্তমানে হরিয়ানা রাজ্যের ভিতরে পড়েছে। কল্পনার ছোট বেলা থেকেই এরোপ্লেনের ছবি আঁকার প্রতি বেশি ইন্টারেস্ট ছিল। আর কল্পনা চাওলা রাতের বেলায় তারা দেখে সেগুলোকে অন্যরকমভাবে অনুভব করতেন। কল্পনা চাওলা তার লেখাপড়া পাঞ্জাবের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে করেছেন। তারপর আমেরিকায় গিয়ে মহাকাশ বিদ্যায় পড়াশুনো করেন। পড়াশুনো করতে করতেই একদিন কল্পনার স্বপ্ন পূরণ হয়ে যায়। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্পেস রিসার্চ সেন্টার নাসায় সুযোগ পেয়ে যান কল্পনা। নাসার হাত ধরে ১৯৯৭ সালের কল্পনা চাওলার প্রথমবার মহাকাশে যান। এরপর ২০০৩ সালে নাসার তত্ত্বাবধানেই দ্বিতীয়বার মহাকাশে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় কল্পনার। আর এই মিশটি ছিল কল্পনা চাওলার শেষ মিশন। কারণ এই মিশনের ১টি ভুলের কারণেই নিভে যায় কল্পনা চাওলার জীবনের আলো। ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারী কল্পনা চাওলা ২য় বার মহাকাশে যান। তার সঙ্গে ছিলেন আরও ৬ জন। কল্পনা চাওলা ও তার দলের অন্যান্য সদস্যরা মিলে মোট ৮০ ধরনের অভিজ্ঞতা সঞ্চার করে এই মিশন থেকে। মিশনটি তারা ভালোভাবে সম্পন্ন করেছিলন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে ফেরার পথে। আসলে কল্পনা চাওলাদের এই মিশনের মহাকাশ যানটি, অর্থাৎ যে মহাকাশ যানে করে কল্পনাদের টিম মহাকাশে গিয়েছিলে, সেটি পৃথিবীতে থাকতেই একটি বড় বিপদের সম্মুখীন হয়। লঞ্চ করবার সময় কল্পনাদের মহাকাশ যানটির বাইরের একটি অংশ ভেঙে যায়। কিন্তু সেই সময় কিছুই করার ছিল না। কারণ ততক্ষণে কল্পনা চাওলাদের মহাকাশ যানটি ছেড়ে দিয়েছিল। ওই মুহূর্তে অনেকেই ভেবেছিল কোনও সমস্যা হবে না। এদিকে কল্পনা চাওলা ও তার সাথীরা মহাকাশে পৌঁছে যান। কিন্তু তাদের কিছুই জানানো হয়নি। যে তাদের মহাকাশ যানটি বিপদের সম্মুখে। নাসার দাবি, যদি এই খবর কল্পনা ও তার সাথীদের জানানো হলে তারা ভেঙে পড়তেন। তাই তাদের জানানো হয়নি। নিজেদের অভিযান সফল করে ১৬ দিন কাটানোর পর কল্পনা চাওলা ও তার সাথীরা পৃথিবীতে ফিরে আসার অভিযান শুরু করেন। আর তখনই মহাকাশেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় কল্পনা চাওলাদের মহাকাশযানটি। সাথে সাথেই প্রাণ হারান কল্পনা চাওলা ও তার সাথীরা। এই ঘটনায় শোক স্তব্দ হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব। টানা ২ বছর বন্ধ থাকে মহাকাশ গবেষণা। কল্পনা চাওলার এভাবেই হারিয়ে গিয়েছিলেন এক সীমাহীন মহাকাশে। যেখান থেকে আর কোনও দিনও ফিরে আসবেন না। কীভাবে, কোথায় হারিয়ে গেছেন তা আজও কেউ জানে না। তবে এই রকম কল্পনা চাওলাদের জন্যই আজকের পৃথিবী পেয়েছে অনেক কিছু, আজকে আমাদের ইন্টারনেট, ওয়াই ফাই, থ্রি জি, ফাইভ জি এগুলোর পিছনে অবদান রয়েছে এই রকম অনেক কল্পনা চাওলার।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *