চাঁদে জমি

চাঁদ আপনার ঘরে না এলেও, আপনি নিজে চাঁদে গিয়ে ঘর তো বানাতেই পারেন! চাঁদে বাড়ি! স্বপ্ন নাকি সত্যি? সেই প্রশ্নেরই উত্তর দেব আজ। তবে চাঁদে জমি কিনে বাড়ি করার স্বপ্ন কিন্তু মানুষের বহু দিনের। এবার সেই স্বপ্নই পূরণ হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। গোটা পৃথিবীর বুকে ইতিহাস তৈরি করে ভারতের চন্দ্রযান-৩ পা রেখেছে চাঁদের মাটিতে। তাই ভারতের হাতেই এখন চাঁদ! ইসরোর বিজ্ঞানীরা চাঁদের মাটি ছুঁতেই গোটা দুনিয়া এখন তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে।

সাধারণ মানুষ তো বটেই চাঁদে জমি কেনার লোভ সামলাতে পারেন না সেলিব্রেটিরাও। ২০০২ সালে হায়দ্রাবাদের রাজীব বাগদি এবং ২০০৬ সালে বেঙ্গালুরুর ললিত মেহতা চাঁদে একটি প্লট কিনেছিলেন। এছাড়া বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতেরও  চাঁদে জমি কেনা রয়েছে।  এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী একজন অনুরাগী  শাহরুখ খানকে তাঁর জন্মদিনে চাঁদের জমি উপহার দিয়েছিলেন। এছাড়া ইতিমধ্যেই অনেক ধনীরাই ধনী ব্যক্তি রায় চাঁদের জমি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ফেলেছেন।

চাঁদের জমির দালাল 

জানলে অবাক  হবেন শুধু পৃথিবীতেই নয় চাঁদে জমি কেনার জন্যও রয়েছে  জমির দালাল।  মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী লুনা সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল লুনার ল্যান্ডস রেজিস্ট্রি হল এমনই  কোম্পানি যারা চাঁদে জমি বিক্রি করার দাবি করেন।

তবে আপনি কি জানেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইন অনুযায়ী চাঁদের জমি কেনার কি নিয়ম রয়েছে?

আউটার স্পেস ট্রিট ১৯৬৭ অনুযায়ী পৃথিবীর কোন দেশের মহাকাশের উপর কোন অধিকার নেই। চাঁদ তারা কিংবা মহাকাশের অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম প্রযোজ্য। অর্থাৎ চাঁদের উপর কোন দেশ মালিকানা দাবি করতে পারে না। তাই চাঁদে কোনো দেশ পতাকা উত্তোলন করলেই কিন্তু তারা চাঁদের মালিক হয়ে যায় না। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইনেও রয়েছে কড়া নির্দেশ।

তাই আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইন চাঁদে জমি কেনার স্বীকৃতি না দেওয়ায় কিছু কোম্পানি পাল্টা যুক্তি দিয়ে দাবি করে  চাঁদের দেশগুলোর জমি কেনার অধিকার নাই বা থাকতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রে নাগরিকদের কোন বাধা নেই। কিন্তু এ বিষয়ে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রয়েছে।

চাঁদে জমির দামই  বা কেমন?

যদিও এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে চাঁদের কোন দিকে, কোন অবস্থানে কতটা জমি কেনা হচ্ছে তার ওপর। তবে  রেজিস্ট্রি ডটকমের মতে চাঁদে এক একর জমির দাম প্রায় ৩৮ ডলার অর্থাৎ যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩,১২০ টাকা। তবে  আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইন অমান্য করেই এখন চাঁদে জমি কেনা এবং তা উপহার দেওয়া একটি ফ্যাশন ট্রেন্ডে পরিণত করেছে। তবে বিষয়টি আসলে গোলকধাঁধার মতো বিষয়। এছাড়া চাঁদের জমির জন্য প্রতি একরে৩ হাজার  টাকা খরচ হওয়ায় মানুষ চিন্তাও করে না। আর এভাবেই এটি এখন কোটি কোটি টাকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *