চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যে হিংসেয় জ্বলে পুড়ে ছাই বাংলাদেশের একদল মানুষ! চন্দ্রযান ৩ একটা
বিলাসিতা, আদিখ্যতা, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর ভিডিও!
চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যে
হিংসেয় জ্বলে পুড়ে ছাই
বাংলাদেশের একদল মানুষ!
চন্দ্রযান ৩ একটা
বিলাসিতা, আদিখ্যতা!
টাকা নষ্টের বাজে খেলা!
ভারতকে চরম কটাক্ষ!
শুনতেই পারছে না
ভারতের জয়জয়কার!
বেজায় অখুশি
রেগে কাঁই ওপার বাংলার
এই মানুষগুলো!
প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর
ভিডিও!
ভারতের চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যে অখুশি বাংলাদেশের একাংশ। হিংসেয় জ্বলে, পুড়ে ছাই ওপার বাংলার ভারতবিরোধী কিছু মানুষ। চাঁদে পৌঁছানোকে ভারতের উচ্চ বিলাসিতা মনে করছেন তারা। নানা ভাবে চন্দ্র ৩ কে কেন্দ্র করে কটূক্তি ও অপপ্রচার করে চলেছেন এই মানুষগুলো। একই সাথে ভারতের চন্দ্রযান ১ ও চন্দ্রযান ২, এই দুটি মিশন নাকি ব্যর্থ হয়েছে, এমন দাবিও তুলছেন তারা। চন্দ্রযান ৩ সফল হওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে উগড়ে দিচ্ছেন ক্ষোভ।
( ১৬ – ৩২ )
যেখানে ভারতের চন্দ্রযান মিশনকে অভিনন্দন জানিয়েছে নাসার মতন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা থেকে শুরু পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলো, সেখানেই ভারত বিরোধী বেশকিছু মানুষ যেন এটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। এই সব মানুষের ভারতবিরোধী তথা বিজ্ঞানবিরোধী মনোভাবকে আপনি কি চোখে দেখবেন? আপনাকে জানিয়ে রাখি, যে সমস্ত বাংলাদেশীরা ভারতের চন্দ্রযান ৩ কে কেন্দ্র করে এত বড় বড় বুলি আওড়াচ্ছেন তাদের দেশের মহাকাশ সংস্থার কি অবস্থা? কোন পর্যায়ে রয়েছে তাদের মহাকাশ গবেষণা? কটা মিশন চালিয়েছেন তারা? মহাকাশ গবেষণায় কি কি অবদান রেখেছেন তারা? তাহলে শুনুন, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, তেমনি বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাম স্পারসো। বাংলাদেশের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, শুধুমাত্র নামেই রয়েছে, কোনও কাজে নেই। ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরোর ধারে কাছে নেই বাংলাদেশের স্পারসো। ইসরোর কাছে চুনোপুঁটি বাংলাদেশের স্পারসো। সবচেয়ে মজার বিষয়, মহাকাশে বাংলাদেশের অবদান বলতে ১টি মাত্র স্যাটেলাইট। তাও আবার এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের কোনও ক্ষমতাই ছিল না বাংলাদেশের। আমেরিকার কাছে হাত পেতে ২০১৮ সালে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এদিকে ২০২২ সালের মধ্যে ভারত ১২০টির বেশি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে মহাকাশে। আর এর জন্য একটি টাকাও ধার দেনা করতে হয়নি ভারতকে। কারো সাহায্যও লাগেনি। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রতিটা স্যাটেলাইট। দাপটের সঙ্গে মহাশূন্যে বিরাজ করছে সেগুলো। খুব কম খরচে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠায় ভারত। এর জন্য ভারতের আলাদা করে কৃতিত্ব রয়েছে।
এদিকে ২০১৮ সালের আগে বাংলাদেশে নিজস্ব কোনও স্যাটেলাইটই ছিল না। অন্যের স্যাটেলাইট ধার করে চলত। সেদিকে ভারতের শুধু পৃথিবীতেই নয়, চাঁদেও স্যাটেলাইট রয়েছে। বাংলাদেশের গবেষণা গড়ে উঠেছে কৃষি ও জলবায়ুর ওপরে। এখনও বেরোতে পারেনি এই দুটোর গণ্ডি ছেড়ে। সেদিকে ভারতের গবেষণা ছাড়িয়ে গেছে চাঁদ, সূর্য, মঙ্গল, শুক্রের মতন বড় বড় ক্ষেত্রফলকেও।
( ফটো )
এই ব্যাক্তির কথায় ভারতের চন্দ্রযান ১ নাকি বিফলে গিয়েছিল। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, চন্দ্রযান ১ বিফলে যায়নি। চন্দ্রযান ১ এর দৌলতে গোটা বিশ্ব আজ জানতে পেরেছে চাঁদে জল আছে। আমেরিকার নাসাও পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল না চাঁদে জল আছে কি না! ভারত একাই এই তথ্যের নিশ্চয়তা প্রমাণ করে। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, ভারতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো চালু হয়, ১৯৬৯ সালে। আর বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পারসো চালু হয় ১৯৮০ সালে। দুটি দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ফারাক মাত্র ১১ বছর। অথচ এই ১১ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশকে ছাপিয়ে গেছে ভারত। বাংলাদেশ হাজার বছর ধরে চেষ্টা করলেও ভারতের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। আর ভারতের এই উন্নতির পিছনে মূল মন্ত্র নিজের চরকায় তেল দেওয়া। অন্যেরা কোথায় সফল, কোথায় বিফল সেসবে কান দেয় না ভারত। ভারত নিজের অভীষ্ট পূরণকে প্রাধান্য দেয়। তাই তো দুবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও তিন বারে এসে সাফল্য পেয়েছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। আর এইভাবেই বিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। আর যারা বিজ্ঞানের বিরোধীতা করছেন তারা কিছুই করতে পারছেন না, বরং মুর্খামির পরিচয় দিচ্ছেন।
Leave a Reply