চাঁদের মাটিতে বস্তা ভর্তি মানুষের মল! ছড়ানো ছিটানো আবর্জনা, তবে কি চাঁদের মাটিতে
প্রাণের ইঙ্গিত? কি বলছেন বিজ্ঞানীরা
চাঁদের মাটিতে বস্তা ভর্তি
মানুষের মল!
প্লাস্টিকে বাঁধা ডায়পার
ছড়ানো ছিটানো আবর্জনা!
তবে কি চাঁদের মাটিতে
প্রাণের ইঙ্গিত?
কি বলছেন বিজ্ঞানীরা
ল্যান্ডার বিক্রম ছুঁলো চাঁদের মাটি। ইতিহাস তৈরি করল ভারত। ২০১৯ এর কান্না ভোলাল ইসরো। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর মুখে ফোটাল হাসি। ইসরোর বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান ৩ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন। সেই আশা সফলও হল। দীর্ঘ ৪ বছরের সাধনা স্বার্থক হল। কিন্তু এর মধ্যে আবারও উঠে এলো ৫০ বছর আগের এক বিতর্ক। চাঁদের মাটিতে আদৌ মানুষের পা পড়েছিল কি না? সেই নিয়ে শুরু নতুন গুঞ্জন। চাঁদে প্রথম পা রাখে এপোলো ১১। এই নিয়ে রয়েছে বিস্তর মতভেদ। যদিও এপোলো ১১ চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফিরে আসার সময় প্রমাণ স্বরূপ, চাঁদে যাওয়ার সমস্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য, সেখানকার মাটি, টিলার অংশও নিয়ে ফিরে এসেছিল পৃথিবীর মাটিতে।
ফেরার সময় চাঁদের মাটিতে আমেরিকার পতাকা সহ, মহাকাশচারী নীল আমস্ত্রং চাঁদের ছবি তুলেও সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। তা স্বত্তেও বিতর্ক উঠেছে। সমালোচনা উঠেছে। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসার আগে, ফের একবার প্রমাণ স্বরূপ ৫০ বছর আগের আরও একটি তথ্য মাথা চড়া দিয়ে উঠল। চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মানুষের ব্যবহার করা বর্জ্য, মল সহ ১০০টিরও বেশি ব্যাগ। চাঁদের পৃষ্টে যেহেতু হাওয়া চলাচল করে না, তাই ওই বর্জ্য সমেত ব্যগগুলো পড়ে রয়েছে বহু বছর ধরে। চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি , পৃথিবীর ৬ ভাগের ১ ভাগ। তাই তরল থেকে শুরু করে সব কিছু প্রায়ই ভাসমান। তাই বর্জ্য, মল মূত্রে নিয়ে সমস্যা হওয়াই স্বাভাবিক। বেশির ভাগ সময়ই মহাকাশচারীদের তাই ডায়পার পরেই কাটাতে হয়। ব্যবহার করা সেই সমস্ত ব্যাগ মহাকাশচারীরা অভ্যাসবশত চাঁদের মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। যদিও মহাকাশ গবেষণার দাবি, ফেরার সময় মহাকাশচারীরা সেই ব্যাগগুলি পৃথিবীর মাটিতে ফেরত আনলেও সঙ্গে আনতে পারেনি তাদের ব্যবহার করা ডায়পার ও অন্যান্য বর্জ্য় পদার্থ।
Leave a Reply