জানেন চাঁদে নেমেই ঠিক কি কি দেখতে পেয়েছে চন্দ্রযান ৩? গা ছমছমে আঁধার, সেখানে আছে কি কোনও ভিনগ্রহী?

জানেন চাঁদে নেমেই ঠিক কি কি দেখতে পেল চন্দ্রযান ৩? গা ছমছমে আঁধার, সেখানে আছে কি কোনও ভিনগ্রহী?

জানেন চাঁদে নেমেই
ঠিক কি কি দেখতে পেল
চন্দ্রযান ৩?

রহস্যে মোড়া চাঁদের দক্ষিণ মেরু!
পদে পদে ভয়ঙ্কর বিপদ!

গা ছমছমে আঁধার!
ধূসর ছাই আর বালি!

সেখানে আছে কি কোনও ভিনগ্রহী?
মিলেছে কি কোনও প্রাণের অস্তিত্ব?

প্রকাশ্যে চন্দ্রযান ৩ এর
সরাসরি পাঠানো রিপোর্ট ও ছবি

চাঁদে নামতে না নামতেই, কাজ শুরু করেছে চন্দ্রযান ৩। ক্যামেরা তাক করেই ফটাফট ছবি তুলেছে প্রজ্ঞান। ছবি তোলা মাত্রই সেই ছবি পাঠিয়েছে ইসরোকে। একই সাথে সমানতালে যোগাযোগ রাখছে ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে। এখনও পর্যন্ত ইসরোকে যে সমস্ত ছবি পাঠিয়েছে প্রজ্ঞান, তা দেখে একদিকে উচ্ছ্বসা যেমন বেড়েছে, একই সাথে উৎকণ্ঠাও বেড়েছে। ইসরোর হাতে আসা চাঁদের ছবিতে ধরা পড়েছে ছোট-বড় বেশকিছু গহ্বর। এই ছবি দেখে একবার হলেও মনে পড়বে, চাঁদে কলঙ্ক থাকার সেই প্রবাদ বাক্যটি। ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে, আশেপাশে নিঝুম মায়াবী রাত, ধূসর গোলক। বড়ই অদ্ভুদ, বিচিত্র রুপ। প্রজ্ঞানের পাঠানো ছবি থেকে রহস্যজনক কিছু মেলেনি। অনেকেই চাঁদে এলিয়েন থাকার কথাও বলেন। এখনও পর্যন্ত সেই ধরনের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। চাঁদে বড় বড় অদ্ভুত গর্ত, ধুলোবালি ছাড়া কিছুই সামনে আসেনি। প্রজ্ঞানের পাঠানো ছবি থেকে নিশ্চিত যে নিরাপদ রয়েছে চন্দ্রযানের পুরো সেটআপ। কিন্তু এরপরেও চাঁদে চন্দ্রযান ৩ এর সুস্থতা নিয়ে এখনও উৎকণ্ঠা কাটেনি। কারণ চাঁদের দক্ষিণ মেরু যেখানে চন্দ্রযান ৩ রয়েছে, সেখানের পুরোটাই অন্ধকারাচ্ছন্ন। পদে পদে বিপদের আশঙ্কা। চাঁদের এই দক্ষিণ অংশে আদৌ কি কি ঝুঁকি ও ফাঁদ লুকিয়ে আছে তা এখনও অজানা ইসরোর কাছে। তাই চিন্তার রেশ কাটছে না। অবশ্য এই চিন্তার স্রোতকে থামাতে প্রজ্ঞানই শেষ ভরসা।

ইসরো আগে থেকেই জানিয়েছিল, অবতরণ মসৃণ ও ঝুঁকিমুক্ত হলে, পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রামিং অনুযায়ী চাঁদের মাটিতে নেমেই কাজ করা শুরু করে দেবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। বিক্রম আলতো করে প্রজ্ঞানকে চাঁদে অবতরণ করতে সাহায্য করবে। প্রজ্ঞান তার কাজ শুরু করার আগে অবতরণস্থলের চারদিক ভাল করে পরীক্ষা করে নেবে। যাচাই করে নেবে আশেপাশে কোনও গহ্বর আছে কিনা, বিপদের সম্ভাবনা আছে কিনা। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলেই, চাঁদের মাটিতে সংগ্রহের কাজ শুরু করে দেবে প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে, যে কোনও সময় পরিস্থিতি বদলাতে পারে। তাই বিক্রম ও প্রজ্ঞান যাতে কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেই দিকটি মাথায় রেখেই সুরক্ষা দিচ্ছে ইসরো।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *