চাঁদের মাটিতে হৃত্বিক রোশনে বাবা রাকেশ রোশন! মুখ্যমন্ত্রীর আবোল তাবোল তত্ত্বে ঘেঁটে ‘ঘ’ বঙ্গবাসী, ঠিক কি বলেছেন?
চাঁদের মাটিতে
হৃত্বিক রোশনে বাবা রাকেশ রোশন!
চাঁদ থেকেই
ইন্দিরা গান্ধীকে হাই হ্যালো!
মুখ্যমন্ত্রীর আবোল তাবোল
তথ্যে ঘেঁটে ‘ঘ’ বঙ্গবাসী!
ভুলতাল বকে
বেজায় বিপাকে মমতা!
ভরা মঞ্চে হৈ চৈ!
চরম খিল্লী নেটপাড়ায়!
ঠিক কি বলেছেন?
শুনলে ভিমড়ি খাবেন!
রাকেশ রোশনকে প্রায় সকলেই চেনেন। একজন বিশিষ্ট অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। তার আরেক পরিচয় তিনি হৃত্বিক রোশনের বাবা। কিন্তু হঠাৎই শিরোনামে ঘুরছে তার নাম। চন্দ্রযান ৩ এর সফল ল্যান্ডিং এর পরেই চর্চায় এসেছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। চারিদিকে থৈ থৈ পড়ে গিয়েছে, তিনি নাকি চাঁদে গিয়েছেন। কিন্তু রাকেশ রোশন চাঁদে কবে গেলেন, তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। চাঁদে এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয় যাইনি, অন্তত ভারতের ইতিহাস এমনটাই দাবি করে, সেখানে দাঁড়িয়ে রাকেশ রোশন কবে, কীভাবে চাঁদে গেলেন সেটা নিয়েই বেঁধেছে বড়সড় সংশয়। ঘটনার সূত্রপাত, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে। বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণের একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই চন্দ্রযান ৩ এর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই বাঁধিয়ে ফেলেন বিপত্তি। কথা বলতে বলতে একেবারে খিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেন। কি বলতে কি বলেছেন তিনি নিজেই জানেন না হয়ত। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায়, মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা হয়ে গেলেন রাকেশ রোশন। মানে হৃতিক রোশনের বাবা!
ঠিক কি বলেছেন তিনি-
আমরা সব সময় সব কিছু রাজনীতির চোখে দেখি না। বাংলার মানুষ, ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ইসরোর বিজ্ঞানীদের অ্যাডভান্স কনগ্র্যাচুলেশন। তাঁরা সফল হবেন আশা করি। এই অভিযানের ক্রেডিট দেশের, ইসরোর বিজ্ঞানীদের। বাংলা থেকেও কয়েকজন বিজ্ঞানী রয়েছেন। টিম ইন্ডিয়া, ইসরো ইন্ডিয়া, বিজ্ঞানী টিমকে আগাম অভিনন্দন। ভারত এখন মহাকাশের সুপার লিগে! অসাধারণ সাফল্যকে অভিনন্দন।
এরপরই শুরু আবোল তাবোল বকা। সেই বকার মাত্রা ছাড়িয়ে একাকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন-
ইন্দিরা গান্ধী যখন প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন তখন চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিলেন। এখন মানুষ যায়নি, যন্ত্র গিয়েছে। চাঁদের মাটিতে পৌঁছেছিলেন রাকেশ রোশন। তাঁকে ইন্দিরা গান্ধী প্রশ্ন করেছিলেন, মহাকাশ থেকে ভারতকে কেমন লাগছে? রাকেশ রোশন বলেছিলেন, সারে জাহাসে আচ্ছা!
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের ততক্ষণে বুঝতে বাকি রইল না যে, মুখ্যমন্ত্রী মহাকাশচারী রাকেশ শর্মার সঙ্গে রাকেশ রোশনকে গুলিয়ে ফেলেছেন। অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান। কেউ কেউ গুগল করতে শুরু করে দেন। সত্যিই কি হৃত্বিক রোশনের বাবা চাঁদে গিয়েছিলেন! যাই হোক, সকলে অবাক হলেও, উপস্থিত কেউ ভুল সংশোধন করে দেননি মুখ্যমন্ত্রীকে। মাননীয়ার বিরাগভাজন হওয়ার আশঙ্কাতেই কেউ সাহস দেখাননি হয়ত। অবশ্য ভুল ক্রুটির পরোয়া না করেই, কনফিডেন্টভাবেই বকে যান মুখ্যমন্ত্রী। ভুল ভ্রান্তির সাথে সাথে ইসরোর মঙ্গল কামনাও করেন তিনি।
Leave a Reply