রাজ্যে কচুরিপানার কারখানা তৈরি করছেন মমতা! পুকুর, ডোবা, নালা নষ্ট হবে না একটাও কচুরিপানা, প্রকাশ্যে এলো নবান্নের পরিকল্পনা

রাজ্যে কচুরিপানার কারখানা তৈরি করছেন মমতা! পুকুর, ডোবা, নালার কচুরিপানাই আগামীর ভবিষ্যৎ, প্রকাশ্যে এলো নবান্নের পরিকল্পনা

রাজ্যে কচুরিপানার কারখানা তৈরি
করছেন মমতা!

বেকারত্ব ঘুচাতে নয়া উদ্যোগ!
কচুরিপানার হাত ধরে কোটিপতি হবে
বাংলার তরুণ সমাজ!

পুকুর, ডোবা, নালার
কচুরিপানাই আগামীর ভবিষ্যৎ!

ঠিক কি করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
প্রকাশ্যে এলো নবান্নের উদ্যোগ

আচ্ছা কখনও ভেবেছেন কচুরিপানা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। কচুরিপানা আপনাকে কোটিপতি বানাতে পারে! ভাবেননি তো! তাহলে এবার থেকে ভাবা শুরু করুন। এবার থেকে পুকুরে, বাড়ির নর্দমায় যে কচুরিপানা জন্মায়, সেগুলো উপড়ে না ফেলে বাড়ি তুলে আনুন। এখন এগুলোই আপনাকে কোটিপতি বানাবে। কারণ মমতা ব্যানার্জির হাত ধরেই কচুরিপানা এখন আর সামান্য জলজ উদ্ভিদে আটকে নেই। এই সামান্য পাতাই এখন মোটা টাকার কাঁচা মালে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিল্পের কাজে ব্যবহার করতে চলেছেন কচুরিপানা। সম্প্রতি, খড়্গপুরের একটি সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাশফুল থেকে যেমন, লেপ ও বালিশ তৈরি হতে পারে। সেরকমই কচুরিপানা শুকিয়ে সেখান থেকে, খাবারের থালা, বাজারের থলি, এবং ব্যাগ ইত্যাদি জিনিস তৈরি হতে পারে। যা একদিকে হবে পরিবেশ বান্ধব, অন্যদিকে হবে লাভবান।

ইতিমধ্যেই, কচুরিপানা শিল্পকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য, পূর্ব বর্ধমানের তুলসীডাঙ্গাতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শিল্পের জন্য রাজ্য সরকারের অনুদান ৪৮ লক্ষ টাকা। এই কচুরিপানা শিল্পের মধ্যে দিয়ে, রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য, রাজ্যেবাসীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। বেকারত্ব কমিয়ে আনা। কচুরিপানা শিল্পকেন্দ্র তৈরির পাশাপাশি, কচুরি পানা থেকে কীভাবে কি উৎপন্ন করবে, সেই লক্ষ্যেও তৈরি হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কচুরিপানা শিল্পের জন্য যে কাঁচামাল ব্যবহার করা হবে তা সংগ্রহ করা হবে, বিভিন্ন ডোবা, পুকুর, নর্দমা থেকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই, খুব শীঘ্রই তৈরি হবে এই শিল্প কেন্দ্র। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে পারে এই শিল্পকেন্দ্রটি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *