স্বামী পরলোক গমন করলে স্ত্রী ‘বিধবা’ হয়, কিন্তু স্ত্রী পরলোক গমন করলে স্বামী কী হয় জানেন?

স্বামী পরলোক গমন করলে স্ত্রী ‘বিধবা’ হয়, কিন্তু স্ত্রী পরলোক গমন করলে স্বামী কী হয় জানেন?

স্বামীহারা বৌ বিধবা হয়
বৌহারা স্বামী কি হয় জানেন?

স্বামী হারালে
মেয়েরা সিঁদুর মুছে সাদা থান পড়ে
ছেলেরা কি করে ধারণা আছে?

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে, স্বামী প্রাণ ত্যাগ করলে স্ত্রীদের বলা হয় বিধবা। এই কথা আমরা সকলেই জানি। হিন্দু শাস্ত্রে পরলোকগামী স্বামীর স্ত্রীকে বিধবা বলেই সম্বোধন করা হয়। প্রাচীন কাল থেকেই এই শব্দবন্ধনী ব্যবহার হয়ে আসছে। বিধবা শব্দের উৎপত্তি নিয়ে নানা রকম মতভেদ রয়েছে। স্বামী পরলোকগামী হলেই স্ত্রীদের বিধবা দশা পালন করতে হয়। সাদা থান কাপড় পড়তে হয়। স্বামী পরলোকগামী হলে স্ত্রীদের তো না হয় বিধবা বলা হয়, কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন স্ত্রী পরলোক গমন করলে স্বামীকে কি বলা হয়!

অনেকেই জানেন না, হিন্দু শাস্ত্রেই রয়েছে এই উত্তর। যদি স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রী বিয়োগ হয়, সেক্ষেত্রে স্ত্রীহীনা স্বামীকে বলা হয় বিপত্নী। বিপত্নী শব্দের অর্থ পত্নী নেই যার। তাকেই বলা হয় বিপত্নী। কারো স্ত্রী বিয়োগ হলে, সেক্ষেত্রে স্বামীদেরও বেশকিছু রীতি রেওয়াজ মেনে চলতে হয়।
শাস্ত্র মেনে সেই সব রীতি রেওয়াজ পালন করা হয়। এখন আসি মূল কথায়। স্ত্রীহীনা স্বামীদের বিপত্নী বলা হলেও, সমাজে এই শব্দ খুব একটা শোনা যায়। অর্থাৎ, পুরুষদের ক্ষেত্রে স্ত্রীহীনা হওয়ার যে বিষয়টি সেটি অন্তরালেই থেকে যায়। স্ত্রী হারিয়েছে বলে তার আরেকটি পরিচয় তৈরি হয়ে যায় না। কিন্তু স্ত্রীদের ক্ষেত্রে স্বামী হারালেই বিধবা নামের একটি পরিচয় তৈরি হয়ে যায়। যেমন, কোনও মেয়ের স্বামী পরলোকগামী হলেই, অনেকেই ফিসফাস করে বলতে শুরু করে, মেয়েটি বিধবা। স্বামী হারা। এই ধরনের কথা অনেক বেশি শোনা যায়। এখান থেকে ১টি বিষয় স্পষ্ট যে, সঙ্গী হারানোর পরেও নারী ও পুরুষদের মধ্যে দুটি বৈষম্যমূলক পরিচয় তৈরি হয়। যা একেবারেই কাঙ্খিত নয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *