জানেন চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডারের নাম বিক্রম কেন? চন্দ্রযান ২ এর সময়ও রাখা হয় একই নাম!

জানেন চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডারের নাম বিক্রম কেন? চন্দ্রযান ২ এর সময়ও রাখা হয়
একই নাম!

জানেন চন্দ্রযান ৩ এর
ল্যান্ডারের নাম বিক্রম কেন?

চন্দ্রযান ২ এর সময়ও রাখা হয়
একই নাম!

পর পর দুবার কেন
একই নাম?

কারণ জানলে
শ্রদ্ধায় মাথা নত করবেন আপনিও!

বিশাল বড় রকেটে চেপে চাঁদে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান ৩। সঙ্গী ১৭৫২ কেজির ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও ২৫ কেজির রোভার ‘প্রজ্ঞান।’ চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩ কে সুস্থভাবে বসিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব ল্যান্ডার বিক্রমের কাঁধে। আপনারা কখনও ভেবে দেখেছেন, চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডারের এমন নাম রাখা হয়েছে কেন? ইসরোর মতে, চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডারের নাম বিক্রম রাখার পিছনে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মনে করে দেখুন। চন্দ্রযান ২ এর ক্ষেত্রেও ল্যান্ডারের নাম বিক্রম রাখা হয়েছিল। এই বিক্রম নামের কারণ শুনলে গর্বে আপনার বুক ভরে যাবে।

বিক্রম নামের পিছনে রয়েছে, ডঃ বিক্রম আম্বালাল সারাভাই। ইনিই হলেন ইসরোর প্রাণপুরুষ। তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি জানাতেই, তাঁর নাম থেকে বিক্রম শব্দটি নিয়ে চন্দ্রযান ৩ এ ব্যবহার করা হয়েছে। চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডারটি তৈরি হয়েছে পরলোকগামী বিক্রম সারাভাইয়ের নামেই।
আমদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাই। তার অবদান অনেক। তাঁকে ভারতের ‘অন্তরীক্ষ গবেষণার জনক’ বলা হয়। ১৯৪৭ সালের ১১ নভেম্বর বিক্রম আম্বালাল সারাভাইয়ের উদ্যোগে, আমদাবাদে গড়ে ওঠে ‘ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’। এরপর ১৯৬৬ তিনি প্রতিষ্ঠা করেন, আমদাবাদে কমিউনিটি সায়েন্স সেন্টার। বিক্রম সারাভাইয়ের অবদান বলতে গেলে অনেক। কমিউনিটি সায়েন্স সেন্টার, দর্পণ অ্যাকাডেমি-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের জনক এই মানুষটি। ১৯৬৬ সালে পদ্মভূষণ ও ১৯৭২ সালে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ খেতাবে ভূষিত হন বিক্রম সারাভাই। ভারতের মহাকাশ গবেষণায় যার এত অবদান, সেই মানুষটিকে ভুলে যাওয়া অসম্ভব। তাই তো চন্দ্রযান ৩ এর সাথেই জুড়ে দেওয়া হল বিক্রম সারাভাইয়ের নাম। চন্দ্রযান ৩ এর সাথে সাথে প্রতিবার উচ্চারিত হবে বিক্রম সারাভাইয়ের নাম।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *