চাঁদের পাড়ায় চুরমার চন্দ্রযান ৩! কান্নায় ফেটে পড়েছে ইসরোর প্রতিটি সদস্য, কীভাবে এবারও ব্যর্থ হল চন্দ্রযান ৩?
চাঁদের পাড়ায় চুরমার চন্দ্রযান ৩!
ছুঁতে পারল না চাঁদের মাটি!
তৈরি হল না ইতিহাস!
ধুমরে মুচড়ে ছারখার
১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন!
কান্নায় ফেটে পড়েছে
ইসরোর প্রতিটি সদস্য!
গুণে গুণে ৩ বার
ব্যর্থ ইণ্ডিয়া!
কীভাবে এবারও ব্যর্থ হল
চন্দ্রযান ৩?
Body:- শেষ রক্ষা হল না। চাঁদের রহস্যময় দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা হল না ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের। আনুমানিক ভারতীয় সন্ধ্যে ৬টা বেজে ৪ মিনিট নাগাদ কথা ছিল অবতরন করার। কিন্তু শেষ মুহূর্তেই ঘটে অঘটন। অবতরনের আগের মুহূর্তেই ভেঙ্গে পড়ে রোভার। এর আগেও দুবার চাঁদে রকেট পাঠায় ইসরো। কিন্তু সেই দুবারও আংশিক সফলতা আসে। শেষ মুহুর্তে অবতরণ করতে পারেনি চন্দ্রযানগুলি। তাই এবারে পুরো সতর্কতার সাথেই তারা যাত্রা শুরু করে। গত ১৪ই জুলাই উৎক্ষেপণ করা হয় এই চন্দ্রযান-৩ । ৬৫০ কোটি টাকায় খরচা হয় প্রজেক্টটির পেছনে। ঠিক-ঠাকই এগিয়ে যাচ্ছিল চন্দ্রযানটি কিন্তু অবতরনের আগের মুহূর্তেই ঘটে বিপত্তি। অনুমান করা হচ্ছে, ঠিক ঠাক অবতরন ক্ষেত্র খুঁজে না পাওয়ায় ক্র্যাশ করে চন্দ্রযান ৩। এরপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের সাথে।
সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ। এর আগেও বহু দেশ চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছে। চাঁদের এই মেরু সর্বদাই রহস্যে মোড়া। পৃথিবী থেকে কখনও দেখা যায় না চাঁদের এই অংশ। এই অংশের তাপমাত্রা সর্বদাই থাকে মাইনাসে। রয়েছে ভয়ঙ্কর বড় বড় গর্ত। কিন্তু এর সাথেই এখানে সম্ভাবনা ছিল জল থাকার। থাকার সম্ভাবনা ছিল বহুল পরিমাণে নানান খনিজ পদার্থেরও । বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল এখানে এমন কিছু মিলতে পারত যার সাহায্যে অনেকটাই উদঘাতন হত সৃষ্ঠি রহস্য। বদলে যেতে পারত তথাকথিত এতদিনের বিজ্ঞান। কিন্তু কিছুই হল না। স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।
এতও দিনের এত পরিশ্রম সব গেল বিফলে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের সব পরিশ্রম হল বিফল। চূর্ণ হল ভারতীয়দের স্বপ্ন। বিশ্ব মানচিত্রে এই চন্দ্রাভিযান ভারতকে এক বিশেষ জায়গায় পৌঁছে দিত। কিন্তু স্বপ্ন রয়েই গেল অধরা।
এবারে আগামীদিনে ভারত আবার নতুন কোন অভিযানে যাবে কিনা তার উত্তর দেবে সময়ই। তবে শেষে আরো একবার “সারে যাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্থান হামারা”।।
Leave a Reply