ফাইনালি চাঁদের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান ৩! তৈরি করল বিশ্বরেকর্ড, ইতিহাসের পাতায় ভারতের নাম,
কীভাবে চাঁদের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান ৩? কি আছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে?
ফাইনালি চাঁদের মাটি
ছুঁল চন্দ্রযান ৩!
তৈরি করল বিশ্বরেকর্ড!
ইতিহাসের পাতায় ভারতের নাম!
সার্থক ৫ বছরের সাধনা!
যুগ যুগ বাঁচবেন
ইসরোর বিজ্ঞানীরা!
যা কেউ পারেনি
তাই করে দেখাল ইসরো!
চিন, আমেরিকা, রাশিয়াকে
পিছনে ফেলে আসল বাজিমাত
দিল ভারত!
কীভাবে চাঁদের মাটি ছুঁল
চন্দ্রযান ৩?
কি আছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে?
অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ভারতের মুকুটে জুড়ে গেল চন্দ্র জয়ের খেতাব। সমস্ত বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে পড়ল চন্দ্রযান ৩। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটাল ইসরো। ২০১৯ এর কান্না মুছে আজ আনন্দের কান্নায় শিহরিত ১৪০ কোটি দেশবাসী। ইতিহাসের পাতায় নাম খোদাই করে নিল ইসরোর বিজ্ঞানীরা। যা কেউ পারেনি সেটাই করে দেখিয়ে দিল ভারত। এই মুহূর্তে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে উড়ছে ভারতের পতাকা।
লেটেস্ট আপডেট অনুযায়ী, চাঁদের রহস্যময় দক্ষিণ মেরুতে সুস্থভাবে অবতরণ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। আনুমানিক ভারতীয় সন্ধ্যে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। এর আগেও দুইবার চাঁদে রকেট পাঠায় ইসরো। কিন্তু সেই দুইবারই আংশিক সফলতা আসে। শেষ মুহুর্তে অবতরণ করতে পারেনি চন্দ্রযানগুলি। তাই এবারে পুরো সতর্কতার সাথে যাত্রা শুরু করেছিল ইসরো। তৈরি করেছিল অত্যাধুনিক স্পেশাল যন্ত্র। যার সাহায্যে কিছু যন্ত্রাংশ বিকল হলেও তথ্য পাঠাতে সক্ষম থাকবে যন্ত্রটি। মাত্র ৬৫০ কোটি টাকায় করা হয় গোটা প্রজেক্টটি। গত ১৪ই জুলাই উৎক্ষেপণ করা হয় এই চন্দ্রযান-৩ । অবশেষে দীর্ঘ যাত্রার পর । নির্ধারিত সময়তেই চাঁদে গিয়ে পৌঁছাল এই যান।
সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ। এর আগেও বহু দেশ চেষ্টা করেও হয়েছে ব্যার্থ। চাঁদের এই মেরু সর্বদাই রহস্যে মোড়া। পৃথিবী থেকে কখনও দেখা যায় না চাঁদের এই অংশ। এই অংশের তাপমাত্রা সর্বদাই থাকে মাইনাসে। রয়েছে ভয়ঙ্কর বড় বড় গর্ত। কিন্তু এর সাথেই এখানে জল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বহুল পরিমাণে নানান খনিজ পদার্থের। বিজ্ঞানীদের ধারণা এখানে এমন কিছু মিলতে পারে যার সাহায্যে অনেকটাই উদঘাতন হবে সৃষ্ঠি রহস্যও। বদলে যেতে পারে তথাকথিত এতদিনের বিজ্ঞান।
সাইকেলে রকেটের সরঞ্জাম নিয়ে আসা থেকে শুরু করে আজ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল ল্যান্ডিং। ইসরোর এই যাত্রা হার মানাবে যে কোনো রূপকথাকে। এ ছাড়াও ভারতই পৃথিবীর প্রথম দেশ যারা প্রথম প্রচেষ্টাতেই মঙ্গলে পৌঁছয়। ভারতের এই সাফল্যে বদলে দিতে পারে গোটা বিশ্বের ভূ – রাজনীতি। গোটা বিশ্বে নতুনভাবে পাখনা মেলবে ভারত। তাই তো ওপর ওপর সব দেশ শুভেচ্ছা জানালেও। ভেতর ভেতর ফুসছে বিশ্বের বিখ্যাত দেশগুলি। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের এত সফলতা হয়ত মানতে একটু কষ্টই হচ্ছে তাদের। এবারে আগামীদিনে এই চন্দ্রযান কি রহস্য উদঘাটন করে তার উত্তর সময়ই দেবে। তবে চন্দ্রযান ৩ এর সফলতা দেখে আজ বলতেই হয়- “সারে যাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্থান হামারা”।।
Leave a Reply