গর্ভগৃহে আর নেই তারা মা! অন্য মন্দিরে সরানো হল মায়ের বিগ্রহ, এখন কোথায় আছেন তারা মা?
গর্ভগৃহে আর নেই তারা মা!
এবার কোথায় গেলে পাবেন
তারা মায়ের দর্শন?
অন্য মন্দিরে
সরানো হল মায়ের বিগ্রহ!
হঠাৎ কেন সরানো হল মায়ের বিগ্রহ?
এখন কোথায় আছেন তারা মা?
সনাতনীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র তীর্থস্থান তারাপীঠ। এখানেই থাকেন ‘তারা’ মা। যাকে এক ঝলক দেখার জন্য দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসে অগণিত মানুষ। ভক্তদের কখনও নিরাশ করেন না তারা মা। কিন্তু এবার আর তারাপীঠে গেলে গর্ভগৃহে মা তারার দর্শন মিলবে না। গর্ভগৃহ থেকে ভক্তদের আর দেখা দেবেন না তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে ভেঙে পড়েছেন মায়ের একনিষ্ঠ ভক্তরা। সকলেরই প্রশ্ন কেন গর্ভগৃহে আর দেখা মিলবে না তারা মায়ের?
আসলে তারা মা কোথাও যাননি। তাঁকে সাময়িকভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত করেছে মন্দির কতৃপক্ষ। কারণ তারাপীঠ মন্দিরের গর্ভগৃহ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। গর্ভগৃহ সংস্কারের পাশাপাশি তারা মায়ের মন্দিরে নতুন রং করা হবে। মায়ের আসনের উচ্চতা বাড়ানো হবে। ভক্তরা যাতে আরও সহজে, তারা মায়ের দর্শন পেতে পারে ও মায়ের চরণ ছুঁয়ে প্রণাম করতে পারে সেই সমস্ত ব্যবস্থাও করা হবে নতুন সংস্কারে। আর এই সব কারণেই, তারা মায়ের বিগ্রহ বাধ্য হয়ে অন্যত্র রেখে আসা হয়েছে। সংস্কার কাজ চলাকালীন মায়ের মূর্তি মন্দিরে থাকলে মায়ের পুজো ও সংস্কার কাজে বিলম্ব ঘটতে পারে।
এখন কোথায় রয়েছেন তারা মা? কীভাবে মিলবে তাঁর দর্শন?
এই মুহূর্তে তারা মাকে রাখা হয়েছে, তারাপীঠের ভৈরবের মন্দিরে। আগামী ১ সপ্তাহ ধরে তিনি সেখানেই পূজিত হবেন। সেখানে ভৈরব মূর্তির পাশে বিরাজ করবেন তারা মা।
তারাপীঠের মন্দির সংস্কার নিয়ে কী জানালেন, মন্দির কমিটির সভাপতি?
তারপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন-
‘প্রায় পাঁচ বছর ধরে মা তারার মন্দিরের কোনওকম সংস্কার হয়নি। করোনার সময় সংস্কারের কাজও করা যায়নি। হাজারে হাজারে ভক্ত প্রতিদিন মন্দিরে আসেন। সেই জন্য মা তারার গর্ভগৃহ বন্ধ করে মন্দির সংস্কার করা কোনওভাবেই সম্ভব হয়ে উঠছিল না। কিন্তু সম্প্রতি রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বেশ কিছু ট্রেন বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ ভক্ত ট্রেনে যাতায়াত করেন, তাই এই সময় তাঁরা আসতে পারবেন না। সেই কারণে জরুরি ভিত্তিতে এই সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এই সংস্কারের কাজ চলবে। গর্ভগৃহে মার্বেল বসানোর পাশাপাশি মন্দির রং করা ও সংস্কারের কাজ করা হবে।’
Leave a Reply