জানেন সিসিটিভির নাম শুনলেই কেন ভয় পাচ্ছে যাদবপুরের পড়ুয়ারা? সিসিটিভি বসলে কি কি অসুবিধায় পড়তে হবে পড়ুয়াদের?

জানেন সিসিটিভির নাম শুনলেই কেন ভয় পাচ্ছে যাদবপুরের পড়ুয়ারা? সিসিটিভি বসলে
কি কি অসুবিধায় পড়তে হবে পড়ুয়াদের?

জানেন সিসিটিভির নাম শুনলেই
কেন ভয় পাচ্ছে যাদবপুরের পড়ুয়ারা?

সিসিটিভি নিয়ে কিসের এত আপত্তি?
কেন এত আতঙ্ক?
কেনই বা এত ভয়?

সিসিটিভি বসলে
কি কি অসুবিধায় পড়তে হবে পড়ুয়াদের?
ফাঁস হল ৪টি চাঞ্চল্যকর পয়েন্ট

ফাইভ স্টার, এলিট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোথাও কোনও সিসিটিভি নেই। ক্যাম্পাসে কারা ঢুকছে, কারা বেরোচ্ছে তার না আছে কোনও হিসেব, না আছে কোনও তদারকি। কে কি উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে আসছে হুঁশ নেই কতৃপক্ষের। ১ম বর্ষের পড়ুয়ার মর্মান্তিক পরিণতি হওয়ার পরেও হুঁশ ফেরেনি কারোর। এখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে। তাঁদের যুক্তি, সিসিটিভি বসানো মানেই, মুক্ত চিন্তায় হস্তক্ষেপ করা। তারা কিছুতেই সিসিটিভি বসাতে দেবে না। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন সিসিটিভি বসাতে দিচ্ছে না এই পড়ুয়ারা? কি আড়াল করতে চাইছে তারা? কোন অবৈধ কাজকে প্রশ্রয় দিতে চাইছে যাদবপুরের এক শ্রেণীর পড়ুয়া, যারা নিজেদের প্রগতিশীল বলেও দাবি করছেন? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি লাগালে, কি কি অসুবিধায় পড়বে এই সকল পড়ুয়ারা, দেখুন এক নজরে-

১।ক্যাম্পাসে অবৈধ কাজ বন্ধ হয়ে যাবেঃ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ স্বাধীনতার একটা বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। এই অবাধ স্বাধীনতার সুযোগকে দেদার ব্যবহার করছে এক শ্রেনীর পড়ুয়া। যারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নানা রকম অবৈধ কাজ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলে তাদের অবৈধ কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের আমোদ ফুর্তি বন্ধ হয়ে যাবে।

২।অবৈধ দ্রব্য সেবন বন্ধ হয়ে যাবেঃ

সম্প্রতি ১ম বর্ষের পড়ুয়া কাণ্ডের পর, যাদবপুরের বেশ কিছু ভয়ংকর কাণ্ড সামনে এসেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে অবৈধ দ্রব্য সেবন করে পড়ুয়ারা। বিভিন্ন নিষিদ্ধ দ্রব্য গ্রহণ করে পড়ুয়ারা। যা ইল্লিগ্যাল। আইন বিরুদ্ধ। এই সব পড়ুয়ারা যে সমস্ত দ্রব্য সেবন করে সেগুলো খুব ভয়ংকর ও প্রাণ সংকটেরও কারণ। সিসিটিভি ক্যামেরা বসালে এই সমস্ত অবৈধ দ্রব্য সেবনে ভাটা পড়বে। ।

৩।পড়ুয়াদের নোংরামো থেমে বন্ধ হয়ে যাবেঃ

যাদবপুরের এক শ্রেণীর পড়ুয়ারা মধু চক্রের সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে বেশ কিছু আপত্তিকর দৃশ্য। যাদবপুর ক্যাম্পাসের ফাঁকা অডিটোরিয়াম থেকে জোড়ায় জোড়ায় ছেলেমেয়েদের বেরোতে দেখা যায়। সিসিটিভি বসলে, এই সমস্ত পড়ুয়াদের মধুচক্রের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।

৪।সিনিয়রদের দাদাগিরি থেমে যাবেঃ

সিসিটিভি বসলেই সিনিয়ররা জুনিয়রদের উপর দাদাগিরি দেখাতে পারবে না। তাদের উপর অমানবিক আচরণ করতে পারবে না। করলেই ধরা পড়ে যাবে। ফলে এদের কাছে সিসিটিভি মানেই আতঙ্ক।

সিসিটিভি লাগালে এই সকল অসুবিধা হবে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের তরফ থেকে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *