দুই বিয়ে

বিয়ে মানেই হাজার গোন্ডা নিয়ম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিয়ে নিয়ে রয়েছে একেক ধরনের অদ্ভুত সব নিয়ম। তাই কোনো দেশে বিয়ের আগে সময় হবু বরের সাথে রাত কাটায় হবু বউয়ের মাসিমা, পিসিমা কিংবা কাকিমারা। আবার কোথাও নিয়ম রয়েছে বিয়ের সময় হবু বৌকে হবু  বরের অবিবাহিত বন্ধুরা  চুমু খায় আর হবু বরকে চুমু খায় মেয়ের বাড়ির তরফে হাজির অবিবাহিত যুবতীরা।

এছাড়াও পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেখানকার বিয়ের নিয়ম শুনলে  তা নিয়ম কম অপরাধ বেশি মনে হয়। তাই বিয়ের নিয়মের নামে এই ধরনের কাজকর্ম করে তারা বিশ্ববাসীর চোখে রীতিমতো অপরাধী। একসময় আমাদের ভারতবর্ষেও বিয়ে নিয়ে প্রচলিত ছিল বহুবিবাহ,বাল্যবিবাহ কিংবা সতীদাহ’র মতো কুপ্রথা। তবে সেসব এখন আমাদের দেশে অতীত।

এক পুরুষের দুই বিয়ে বাধ্যতামূলক 

তবে জানলে অবাক হবেন পৃথিবীতে আজও এমন এক অদ্ভুত দেশ আছেযেখানকার ছেলেদের দু’বার বিয়ে করা বাধ্যতামূলক। এমনকি কেউ যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তাহলে তার নাকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। শুধু তাই নয় প্রথম স্ত্রীরা  যদি তাঁদের স্বামীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে বাধা দেন তাহলে নাকি তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোথায় রয়েছে পৃথিবীর এই অদ্ভুত দেশ ? কেন এই দেশে এই নিয়ম পালন করতে বাধ্য করা হয়?

কোথায় রয়েছে এই অদ্ভুত দেশ?

জানান যায় এই অদ্ভুত প্রথার দেশটি রয়েছে সুদূর আফ্রিকা মহাদেশে। এই আজব দেশটির নাম হল ইরিত্রিয়া। এই দেশের কোনো পুরুষ দুটি বিয়ে করতে রাজি না হলেই তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এটাই নাকি সেই দেশের আইন। তাই প্রথম বিয়ে করে কেউ সুখী হোক বা না হোক তাদের প্রত্যেকেরই দুটি বিয়ে করা আবশ্যক। তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও এখানকার পুরুষদের দুইজন স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতেই হয়। আর নিয়ম পালন কারও প্রথম  স্ত্রী আপত্তি করলেও লাভ হয় না। উল্টে  তাঁর বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

কেন দুই বিয়ে বাধ্যতামূলক?

এই পর্যন্ত শুনে সুকলেই হয়তো ভাবছেন কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম এই দেশে? আসলে আফ্রিকা ইরিত্রিয়াতে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই দেশের মানুষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেই নাকি একজন পুরুষের দুজন মহিলাকে বিয়ে করা বাধ্যতামূলক। শুনতে অবাক লাগলেও  এই দেশে কোনও পুরুষের একজন  স্ত্রী থাকলে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *