দেশবাসীর নিরাপত্তা

দেশবাসীর নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন সেই দেশের পুলিশ এবং সেনা জওয়ানরা। একদিকে পুলিশ যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন তেমনি সেনাবাহিনীর সেনা জাওয়ানরাও সীমান্তবর্তী এলাকায় অতীন্দ্র প্রহরীর মতো বাইরের শত্রু দেশগুলির আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেন দেশবাসীকে। তাই সর্বক্ষণ সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। কিন্তু জানলে অবাক হবেন পৃথিবীতে এমন কিছু দেশও রয়েছে, যেখানকার মানুষদের নিরাপত্তার জন্য নেই কোন পুলিশবাহিনী। তাই স্বাভাবিকভাবেই সেখানে নেই কোন জেল। তাহলে এইসব দেশের মানুষদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখা হয়? অপরাধীদের শাস্তিই বা হয় কীভাবে? একঝলকে দেখে নেওয়া যাক সীমান্তে পুলিশবিহীন দেশগুলির তালিকা।

নেদারল্যান্ড:

দেশের জনগণ জেল খাটলে তার প্রভাব পড়বে অর্থনীতির উপর। তাই নেদারল্যান্ড সরকার অপরাধীদের জেলে পাঠায় না। অপরাধীদের শাস্তি না দিয়ে তাদের তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে উন্নত জীবনযাপনে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় অপরাধীরা কোথায় যাচ্ছে কি করছে সেদিকে নজর রাকার পাশাপাশি তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এজন্য ইলেকট্রনিক ট্যাগিং যন্ত্রটি ব্যক্তির গোড়ালিতে লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভ্যাটিকান সিটি

ইটালির রাজধানী রোমের একাটি অংশ হল ভ্যাটিকান সিটি। যা বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত। একসময় পোপ এবং দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এখানেও সশস্ত্রবাহিনী ছিল। কিন্তু ১৯৭০ সালে এখানকার পোপ সমস্ত বাহিনী বাতিল করে দেন। বর্তমানে এই ভ্যাটিকান সিটির সুরক্ষার দায়িত্ব ইটালির।

আইসল্যান্ড:

ইউরোপ মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ হল আইসল্যান্ড। এখানে কোনো স্থায়ী সামরিক বাহিনী নেই। ন্যাটোর সদস্য হওয়ায় দেশের যাবতীয় সুরক্ষার দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তাই ১৮৬৯ সাল থেকে এই দেশের সীমান্তে কোনও সেনাবাহিনী নেই।
নউরু:

মাইক্রোনেশিয়ার অংশ এই দেশের নেই কোনও নিজস্ব পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনী। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির আয়তন প্রায় ২২ বর্গ কিলোমিটার। জানলে অবাক হবেন এই দেশের জনসংখ্যা মাত্র ১০ হাজার।

পালাউ:

কমপ্যাক্ট অফ ফ্রি অ্যাসোসিয়েশনের অধীনস্ত পালাউ-এর কোনও সেনাবাহিনী নেই। এইদেশের সুরক্ষা নিচিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধু রয়েছে অনুমতিপ্রাপ্তপুলিশবাহিনী। দেশেটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ৩০ জনের মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *