চন্দ্রযান ৩ কি সত্যিই সফল হতে পারবে? কোন কোন দুর্ঘটনার সাক্ষী হতে পারে চন্দ্রযান ৩? এই প্রথম মুখ খুললেন নাসার বিখ্যাত বিজ্ঞানী
চন্দ্রযান ৩ কি
সত্যিই সফল হতে পারবে?
কোন কোন দুর্ঘটনার
সাক্ষী হতে পারে চন্দ্রযান ৩?
কি কি বিপদ আসতে পারে?
চন্দ্রযান ৩-এর সফট ল্যান্ডিং
বাস্তবে কতটা চ্যালেঞ্জিং ও ভয়ংকর?
এই প্রথম মুখ খুললেন
নাসার বিখ্যাত বিজ্ঞানী
চন্দ্রযান ৩ এর হাতে সময় বড্ড অল্প। আর কিছু মুহূর্ত পর চাঁদের পাড়ায় অতিথি হয়ে নামবে চন্দ্রযান ৩। সবার মনে একটাই প্রশ্ন ২০১৯ এর কান্না ভোলাতে পারবে কি চন্দ্রযান ৩! নাকি আবারও কাঁদাবে গোটা দেশকে! সফল হবে কি ভারতের চন্দ্র অভিযান! এমন টানাপোড়েন, দুঃশ্চিন্তার মাঝেই মুখ খুললেন নাসার এক বিজ্ঞানী। চন্দ্রযান ৩ এর সফলতা নিয়ে করলেন বড়সড় মন্তব্য। যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি নাসার মঙ্গল রোভার মিশনের সদস্য। নাম ড. অমিতাভ ঘোষ।
কি জানিয়েছেন তিনি?
তার মতে, চন্দ্রযান ৩ কে সফল ভাবে ল্যান্ডিং করানো একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। একই সাথে আতঙ্কেরও বটে। চাঁদের মাটিতে যে কোনও যানকে বিনা বাঁধায় অবতরণ করানোটাই বেশ ঝক্কির বিষয়। তার মতে, চাঁদের মাটিতে নামার আগে চন্দ্রযানের গতি থাকবে অনেকটাই বেশি। এতটাই বেশি থাকবে যে, এই গতির কারণে চন্দ্রযান ৩ মুহূর্তের মধ্যে ধবংস হয়ে যেতে পারে। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে, চন্দ্রযান ৩ এর মধ্যে এই গতি ভরপুর থাকবে। চন্দ্রযান ৩ চাইবে দ্রুত গতিতে চাঁদে ল্যান্ড করতে। এখানেই লুকিয়ে মারাত্মক বিপদ। যদি চন্দ্রযানের এই গতিতে লাগাম টানা না যায়, অর্থাৎ গতি কমিয়ে স্লো মোশনে, পাখির পালকের মত চন্দ্রযান ৩ কে নামানো না গেলে সব শেষ। পুরো মিশন ভেস্তে যাবে। এই জায়গায় বড়সড় অশনি সংকেত দেখেতে পাচ্ছেন নাসার এই বিজ্ঞানী। একই সাথে তিনি সাবধান বাণী দিয়েছেন চন্দ্রযান ৩ এর রোভার ‘প্রজ্ঞান’কে নিয়ে। তার মতে, অবতরণের সময় প্রচুর ধুলো ওড়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই সময়, ‘প্রজ্ঞান’ রোভারে ধুলো ঢুকলে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ধুলো উড়ে না যাওয়া পর্যন্ত রোভারটি না বেরোলেই মঙ্গল বলেই জানিয়েছেন তিনি। যেহেতু তিনি মঙ্গল অভিযানের সদস্য ছিলেন, সেখান থেকেও তার অভিজ্ঞতা হয়েছে মহাকাশ যানের ল্যান্ডিং এর ব্যাপারে। তবে আতঙ্কের সাথে সাথে তিনি আরো জানিয়েছেন, যদি ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে চন্দ্রযান ৩ কে ল্যান্ড করানো যায় সেক্ষেত্রে এই মিশনের সফলতা ১০০ভাগ সুনিশ্চিত।
ভারতের চন্দ্রযান ৩ এই মুহূর্তে ৫টি পর্যায় সম্পন্ন করেছে। পঞ্চম পর্যায় ছিল প্রপালশন এবং ল্যান্ডার মডিউলের পৃথকীকরণ। সেই প্রক্রিয়াও সফল ভাবে সম্পন্ন করেছে। এর পর অষ্টম পর্যায়ে, অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট পৌনে ছয়টায় অবতরণ করবে এই মহাকাশযান। একবার এই মিশন সফল হলেই, ভারতের মুকুটে জুড়বে চন্দ্রজয়ের স্বীকৃতি।
Leave a Reply