পুজোর বাদ্যির সাথেই বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা! বছর ঘুরলেই হুড়মুড়িয়ে এসে পড়বে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই এই হাইভোল্টেজ ভোট পর্ব নিয়ে দেশজুড়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। তবে এবারের নির্বাচনটা যে প্রকৃতপক্ষেই ‘এনডিএ’ বনাম ‘ইন্ডিয়া’ হতে চলেছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই এই মুহূর্তে সকলের মনে একটাই প্রশ্ন মোদি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি কার দখলে যাবে? ইন্ডিয়া জোটের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ কাকে হিসেবে কাকে তুলে ধরা হবে তা এখনও ঠিক না করা হলেও তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য এখন নরেন্দ্র মোদিকে সিংহাসনচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসা।
অন্যদিকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দিতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবিরও। তাই ফুল অন এনার্জি নিয়ে তাঁদের দাবি গতবারের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে আরও একবার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি সরকারই। তবে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও আসন্ন লোকসভা ভোট নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান ভবিষ্যদ্বাণী। কে কতগুলি সিট পেতে চলেছে তা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যম গুলি প্রকাশ্যে এনেছ একাধিক সমীক্ষা। এসবের মধ্যেই কর্নাটকের এক জ্যোতিষী ভবিষ্যদ্বাণী করে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন গোটা দেশে। যা শুনে কার্যত নড়ে চড়ে বসেছেখুব কেন্দ্রীয় সরকারও।
কি এমন বলেছেন ওই জ্যোতিষী? আসলে কর্নাটকের ওই জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পর আমাদের দেশ পেতে চলেছে একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ মোদির পরাজয় একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু মানুষ কেন এত গুরুত্ব দিচ্ছেন এই জ্যোতিষীকে? জানলে অবাক হবেন এই জ্যোতিষী কিন্তু যে সে জ্যোতিষী নন। জানা যাচ্ছে তিনিই নাকি চলতি বছরের ১০ মে কর্নাটকে ভোটগ্রহণ শুরুর দিন বড়সড় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যা নাকি অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছিল।
ভোটের ফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছিল কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে মোট ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩৬ টি আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। তাই এই জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী একেবারেই হালকা ভাবে নিতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি কয়েকটি মিডিয়া চ্যানেলে তিপ্তুর তালুকের নোনাভিনাকেরে শনি মন্দিরের ধর্মাধিকারী ড. যশবন্তের (‘জি উরুজি’) দাবি, করেছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোন দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। এই জ্যোতিষীর কথায় নক্ষত্রের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে করা এই ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে কোন দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাই একটি জোট সরকার গঠন করা হবে। তবে একজন মহিলাই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হবেন বলেই দাবী ওই জ্যোতিষীর।
শুধু তাই নয় তিনি আরও জানিয়েছেন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহা শিবরাত্রির পর ভারতের নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন শিবরাত্রির আগে নির্বাচন হলে মোদি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণী পড়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। তবে দেশ একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেলেও তিনি কে হতে চলেছেন সে বিষয়ে এখনই কোন মন্তব্য না করতে নারাজ ওই জ্যোতিষী। তিনি বলেছেন আমি ফেব্রুয়ারির পর আবার এই বিষয়ে ভবিষ্যৎ ভবিষ্যদ্বাণী করবো। তাই প্রশ্ন উঠছে এবার কি সত্যিই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হতে চলেছে দেশের প্রধানমন্ত্রী? নাকি সর্বভারতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সানিয়া গান্ধী কিম্বা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দিকে ইঙ্গিত করলেন জ্যোতিষী? আপাতত এই সমস্ত প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে।
Leave a Reply