মোবাইল ফোন

মুঠোয় বন্দী মুঠোফোন ছাড়া এখনকার এই ডিজিটাল দুনিয়াটাই যেন অচল। প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরেই এখন মানুষের কাছে একটা নয় থাকে একাধিক মোবাইল ফোন। বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে থাকা মানুষের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই মুঠোফোন এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। যার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন ৮ থেকে ৮০ সকল প্রজন্মের মানুষ। যার ফলে এখন মোবাইল ফোন ছাড়া এক মুহূর্তও চলে না কারও। জানলে অবাক হবেন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে পৃথিবীতে এমনও কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে পুরোপুরি নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ মোবাইল ফোন। এমনকি সেখানে মোবাইল ব্যবহার করলে হতে পারে মোটা টাকার জরিমানাও।আসুন দেখে নেয়া যাক মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ পৃথিবীর স্থানগুলির তালিকা।

তামিলনাড়ুর মন্দির:

এই তালিকায় রয়েছে ভারতের ৩ টি জায়গা। যার মধ্যে একটি হল দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু। জানা যায় তামিলনাড়ু সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কঠোর নির্দেশ জারি করে জানিয়েছে ‘মন্দিরগুলির শুদ্ধতা এবং পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য।’ রাজ্যেরপ্রত্যেক মন্দিরে মবাইল ব্যবহারে জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত এই মন্দির গুলির তালিকায় রয়েছে মাদুরাইয়ের মীনাক্ষি আম্মান মন্দির, শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির,এবং গুরুভায়ুর শ্রী কৃষ্ণ মন্দির।

অক্ষরধাম মন্দির, দিল্লি 

এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লির বুকে তৈরী অক্ষরধাম মন্দির। নিরাপত্তার কড়াকড়ির  কারণেই নাকি পর্যটকরা তাদের মোবাইল নিয়ে এই মন্দির  চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন না। অবসর সময় কাটাতে এই মন্দির কিন্তু অনেকেরই অত্যন্ত পছন্দের একটি জায়গা।

রাম জন্মভূমি, অযোধ্যা

রাম জন্মভূমি অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার কমপ্লেক্সেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। শুধু তাই নয় এছাড়াও  ক্যামেরা, ঘড়ি, বেল্টসহ যে কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এখানে নিষিদ্ধ।

সিস্টাইন চ্যাপেল ইতালি:

ইতালির এমনই এক বিখ্যাত উপসনালয় সিস্টাইন চ্যাপেল। পবিত্র এই  উপাসনালয়ের ভিতরেও কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন না। এই গ্র্যান্ড চ্যাপেলে গেলে ছাদের নিঁখুত শিল্পকর্ম দেখতে দেখে মুগ্ধ হবেন সকলেই।

ইয়ালা জাতীয় উদ্যান, শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার একটি বিখ্যাত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকারী  জাতীয় উদ্যান হল ইয়ালা জাতীয় উদ্যান। জানা যায় এখানকার গাইডরা বন্য প্রাণীদের দেখার জন্য মোবাইল  ব্যবহার করায় তারা খুব বিরক্ত হয়েছিল। তাই ২০১৫ সাল থেকে এখানকার বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তার জন্যই এখানে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা বারণ রয়েছে।

এলিট আইল্যান্ড রিসর্ট,ক্যারিবিয়ান বিচ

প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অর্থাৎ  ২০১২ সাল থেকে  ক্যারিবিয়ান বিচের এলিট আইল্যান্ড রিসর্টে মোবাইল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানকার প্রায় সমস্ত সমুদ্র সৈকতের সাইনবোর্ডের মোবাইল নিষিদ্ধ বলে লেখা রয়েছে। তাই চেক-ইন করার সময় আগে থেকেই এই নিয়মগুলি সম্পর্কে পর্যটকদের জানানো হয়।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *