ট্রাক চালানোর কথা শুনলে প্রথমেই মনে আসে ভারী পণ্য বোঝাই বিশাল আকারের গাড়ি। দিনভর ক্লান্তি আর হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম মিলিয়ে ট্রাক ড্রাইভার মানেই অত্যন্ত চাপের একটি পেশা। এমনটাই সচরাচর ভেবে থাকে সকলে। কিন্তু পরিশ্রম কোন কাজে নেই! নিজের নিজের পেশাতে সবাইকে পরিশ্রম করেই অর্থ উপার্জন করতে হয়। কিন্তু দিনভর হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কাজ করেও কীভাবে মেজাজ ফুরফুরে রাখতে হয় এবার তা যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বিশ্বের এক সুন্দরী ট্রাক ড্রাইভার।
তবে তিনি যে ট্রাক চালান তা কিন্তু তাঁর লাস্যময়ী রুপ দেখে বোজাহার উপায় নেই! পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পিলবারার বাসিন্দা এই সুন্দরী ট্রাক ড্রাইভারের নাম অ্যাশলে। পেশায় ট্রাক ড্রাইভার হলেও তাঁর কাহিনীটা একটু অন্যরকম। তাই প্রতিকূলতায় ভরা এই পেশার সাথে যুক্ত থেকেও জীবনটাকে প্রাণভরে উপভোগ করেন অস্ট্রেলিয়া নিবাসী এই বিদেশীনি। প্রতি পদে বিপদের হাতছানি থাকলেও নিজের কাজটাই চুটিয়ে উপভোগ করেন তিনি।
এমনিতে বিশ্বজুড়ে অনেক মহিলা ট্রাক ড্রাইভার আছেন। কিন্তু তাদের থেকে একেবারেই আলাদা অ্যাশলে। তার সৌন্দর্য দেখে ভীষম খাবেন যে কেউ। নেটিজেনরা তাকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী ট্রাক ড্রাইভারের তকমা দিয়েছেন। জানা যায় অ্যাশলের কাজের সময় হল ভোর চারটে থেকে বিকেল চারটে মোট ১২ ঘন্টা। তবে দিনভর বিরাট পরিশ্রম করলেও তার ঝুলিতে থাকে অসংখ্য ছুটি আর মোটা মাইনে। মাসে ১৪ দিন ট্রাক চালিয়ে চালালেও দু সপ্তাহ ছুটি পান তিনি। এইভাবেই ছ’মাস কাজ করে অ্যাশলে আয় করেন এক কোটি টাকা।
সেইসাথে রয়েছে তাঁর নজরকাড়া লাইফস্টাইলও। প্রতি মাসে তিনি যে দু সপ্তাহ ছুটি পান সেই সময়টাকেও চুটিয়ে উপভোগ করেন অ্যাশলে। রূপচর্চার পাশাপাশি ঘুরতেও দারুন ভালবাসেন এই জনপ্রিয় মহিলা ট্রাক ড্রাইভার। সোশ্যাল মিডিয়াতেও উপচে পড়ে তার লাস্যময়ী রূপের ছটা। ইন্সটাগ্রামে ১৫,০০০ এরও বেশি ফলোয়ার্স রয়েছে তার।
রোজকার এই সফরের ছবি মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের সামনে তুলে ধরেন অ্যাশলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কাছে অনেকেই জানতে চান সারাদিন ট্রাক ড্রাইভারের মত অত্যন্ত কঠিন একটি দায়িত্ব সামলানোর পরেও তিনি কিভাবে এমন ফুরফুরে জীবন যাপন করেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বের সুন্দরী এই ট্রাক ড্রাইভারের একটাই জবাব ‘আমি আমার জীবনে সুপার কোন কিছু করতে চাই’।তাই সারাদিন গাড়ি চালিয়ে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লেও অ্যাশলে মনে করেন নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকা ভীষণ জরুরী। তাই তিনি প্রথমে টু এন্ড টু রোস্টার বানিয়ে ফেলেন। এরপর সেই অনুযায়ী প্রতি মাসে দু সপ্তাহ করে ছুটি পান।
Leave a Reply