কেটলি

এক কাপ চায়ের প্রতি বাঙালির দুর্বলতা আজকের নয়! সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হতেই মনটা কেমন চা-চা করে ওঠে সকলেরই। এক কথায় চা ছাড়া চা-প্রেমীদের গোটা দিনটাই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়! কেউ রাস্তার ধারে মাটির ভাঁড়ে চা খেয়েই পান এক আলাদা তৃপ্তি, আবার কেউ রেস্তোরাঁয় গিয়ে শৌখিন কাপে চা খেতে ভালোবাসেন। তবে চায়ের সাথে কেটলির রয়েছে এক আলাদাই সম্পর্ক। তাই এমন অনেকেই আছে চায়ের কেটলি থেকেই চা ঢেলে খেতে পছন্দ করেন। তাই চা-প্রেমীদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই অনেক নামি দামী রেস্তোরাঁতে শৌখিন চায়ের কাপ শুধু নয় রাখা হয় দৃষ্টি আকর্ষণকারী কেটলির মতো পাত্রও। কিন্তু তাই বলে কখনও শুনেছেন চায়ের কেটলির দাম ২৪ কোটি টাকা?

সম্প্রতি চায়ের এই দামি কেটলিই রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই যা নাম লিখিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই চায়ের কেটলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য ইগোয়িস্ট’। অর্থাৎ বাংলায় তার অর্থ হয়’অহংকারী।  অবশ্য কেটলিটির যা সাজসজ্জা তাতে নামটা সত্যিই উপযুক্ত।

রাজকীয় এই কেটলির দাম শুনে ইতিমধ্যেই অনেকেই নিশ্চই  ভাবতে শুরু করেছেন কি এমন আছে এই কেটলিতে? তাদের বলে রাখি সাদা রঙের হাতলের এই কেটলিকে মুড়ে ফেলা হয়েছে সোনা রুপো সহ অজস্র মূল্যবান মণি-রত্ন দিয়ে। জানলে অবাক হবেন সাদা রঙের হাতলটিও কিন্তু যে সে হাতল নয়, এই হাতলটি নাকি তৈরি একেবারে হাতির দাঁত দিয়ে। শুধুই কি তাই! এছাড়াও এই মূল্যবান কেটলিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারাট সোনা। বিখ্যাত এই চায়ের পাত্রের বাইরের অংশে বসানো হয়েছে ১৬৫৮ টি হিরে। এছাড়াও এই কেটলির সাজসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে তাইল্যান্ড এবং মায়ানমারের ৩৮৬টি মূল্যবান রত্ন।

বিশ্ববিখ্যাত এই কেটলিটি মনের মতো করে সাজিয়েছে ব্রিটেনের এন শেঠিয়া ফাউন্ডেশন। যা তৈরী করে এক অনন্য নজির গড়েছেন  করেছেন ইটালির বিখ্যাত গয়নার কারিগর ফুলভিয়ো স্কেভিয়া। আজ থেকে বছর সাতেক আগে ২০১৬ সালে সবচেয়ে দামি চায়ের পাত্রের শিরোপা জিতেছিল এই কেটলি। এরইমধ্যে গত ৯ অগস্ট গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এই কেটলিটির কাহিনি টুইট করতেই তা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা যাচ্ছে প্রায় ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ ওই পোস্টটি দেখেছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *