এখনকার দিনে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চেয়ে মানুষ অনেক বেশি ATM মেশিনের ওপর নির্ভরশীল। এই মেশিনের সাহায্যে দিনের যে কোন সময় টাকা তোলা ছাড়াও মিনি স্টেটমেন্ট বার করার পাশাপাশি টাকা ট্রান্সফারের মতো কাজ করা যায়। তবে এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি রয়েছে বেশ কিছু অসুবিধাও। অনেক সময় দেখা যায় মেশিনের মধ্যে কার্ড আটকে যাওয়ার পর তা আর বার হতে চায় না, আটকে থাকে টাকার নোটও। এই ধরণের সমস্যায় পড়লে কি করবেন বুঝতে না পেরে গ্রাহকরা বাইরে থেকেই কার্ড কিংবা টাকা ধরে টানাটানি করতে থাকেন। কিন্তু এটি আসলে তা একেবারেই সঠিক পদ্ধতি নয়।
এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে কার্ড মেশিনের ভিতরে আটকে গেলে টেনশনে পড়ে যান সকলেই। তাই তাড়াহুড়ো করে বাইরে থেকেই কার্ড ধরে টানাটানি করতে থাকেন অনেকে। কিন্তু এতে আদতে লাভ হয় না কোনো। এইসময় ক্যানসেল বাটনটাই বার বার প্রেস করা উচিত। এরফলে অনেক সময় কার্ড আনলক হয়ে যায়। এতেও কাজ না হলে এটিএম -এর স্থানীয় ব্রাঞ্চ ও ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
আসলে টাকা তোলার সময়েই অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন মেশিন কাজ করা বন্ধ করে দিলে কার্ড আটকে যায় । এছাড়াও পরপর ৩ বার ভুল পিন দিলেও মেশিনের ভিতরে কার্ড আটকে যায়। তাই খুব সাবধানে সঠিক পিন টাইপ করা উচিত।
অনেক সময় দেখা যায় এটিএম থেকে টাকা বেরনোর আগেই তা মেশিনের মুখেই আটকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে টাকা ধরে টানাটানি না করে আরও একবার টাকা তোলার চেষ্টা করা যেতে পারে। তাতেই অনেকসময় আটকে থাকা টাকা বেরিয়ে আসে। কিন্তু যদি তা না হয় তাহলে অবশ্যই কাস্টমার কেয়ার নম্বরে ফোন করতে হবে।
এছাড়াও দেখা যায় এটিএম থেকে টাকা না বেরোলেও অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়। এমন পরিস্থিতে ঘাবড়ে না গিয়ে এটিএম থেকে বেরনো স্লিপ নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে নিকটবর্তী ব্রাঞ্চে। হাতে সময় কম থাকলে যোগাযোগ করা যেতে পারে কাস্টমার কেয়ারে। তবে যদি এটিএম থেকে স্লিপ বার না হয় তাহলে ব্যাঙ্কে গিয়ে স্টেটমেন্ট চেয়ে নিয়ে সেই স্টেটমেন্ট সহ জমা দিতে হবে লিখিত অভিযোগ। রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী এটিএম থেকে নগদ না বের হলে ৭ দিনের মধ্যে ব্যঙ্ককে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই যদি ৭ দিনের মধ্যে এই টাকা ব্যঙ্ক ফিরিয়ে না দেয় তাহলে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।
Leave a Reply