ভারতের ১টি গ্রামে ভাই-বোনের মধ্যে হয় বিয়ে! গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা, আপন ভাই-বোনই হয় ওঠে স্বামী-স্ত্রী

ভারতের ১টি গ্রামে ভাই-বোনের মধ্যে হয় বিয়ে! গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা, আপন ভাই-বোনই হয় ওঠে স্বামী-স্ত্রী

ভারতের ১টি গ্রামে
ভাই-বোনের মধ্যে হয় বিয়ে!
গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা!

আপন ভাই-বোনই হয় ওঠে
স্বামী-স্ত্রী!

নিজেদের বাবা, মাকেই
বানিয়ে নেয় শ্বশুর, শ্বাশুড়ি!

কেন করেন এমন বিয়ে?
সেখানে কি পাত্র, পাত্রী নেই?

ভারতের কোন গ্রামে
ঘটে এমন কাণ্ড?

নিজের আপন ভাই কিংবা বোনকে বিয়ে করার কথা ভেবেছেন কখনও! আপনি না ভাবলেও ভারতের একটি গ্রামে এমনটাই ভাবা হয়। কারণ ভারতের এই গ্রামটিতে বিয়ের সংজ্ঞা ও ধারণা দুটোই আলাদা। সাধারণত বিয়ে মানে আমরা বুঝি, এক গোত্রের ছেলের সঙ্গে, আরেক গোত্রের মেয়ের চার হাত এক করা। কিন্তু ভারতের এই ১টি মাত্র গ্রাম যেখানে বিয়ে করতে বাইরেই যেতে হয় না। এই গ্রামের বিবাহযোগ্যরা বিয়ে করে নিজেদের আপন ভাই, বোনকে। বিষয়টি আপত্তিকর হলেও, এখানে এটাই স্বাভাবিক। ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত এক গ্রামের ধুরোয়া উপজাতিদের মধ্যে রয়েছে এমন আজব বিবাহরীতির চল। বিশ্বের সবচেয়ে আজব বিয়ের রীতিগুলোর মধ্যে এটি একটি।

দীর্ঘ সময় ধরেই ধুরোয়া উপজাতিরা এভাবেই বিয়ে করে আসছেন। এই উপজাতিদের মধ্যে কেউ বিয়ের উপযুক্ত হলে, পাত্র কিংবা পাত্রী খুঁজতে বংশের বাইরেই যেতে হয় না। এরা নিজেদের মামা, কাকা, জেঠুর ছেলে, মেয়েদের সাথেই গাঁটছড়া বাঁধে, সাত পাক ঘোরে। একে অপরকে স্বামী, স্ত্রী হিসেবে বরণ করে। যদি নিজের আপন আত্মীয়ের মধ্যে পাত্র, পাত্রী পাওয়া না যায়, সেক্ষেত্রে তারা নিজের আপন মায়ের ছেলে কিংবা মেয়েকেই জীবনসঙ্গী করে নেয়। অর্থাৎ নিজের আপন ভাই, দাদা কিংবা বোন, দিদিকে বিয়ে করে। শুনতে বেশ অন্যরকম লাগলেও এদের কাছে এটাই সাধারণ। এই উপজাতিরা যেহেতু নিজের আপন ভাই, বোনকেই বিয়ে করে থাকেন, তাই এদেরকে বাইরে যেতে হয় না। এদের কাছে নিজেদের বাড়িই শ্বশুর বাড়ি হয়ে ওঠে। আবার নিজের বাড়িই বাপের বাড়ি। আরও বেশি অবাক হবেন, নিজের মা, বাবাই এদের কাছে শ্বশুর, শ্বাশুড়ির সমতুল্য। যেহেতু একই বাড়িতেই বিয়ে হয়ে বর, কনে সেজে আসে। যথাক্রমে নিজের ভাই,বোনেরাও হয়ে ওঠে, ননদ, দেবর, শালী, শালা। এদিকে ভাই, বোন অর্থাৎ যারা নিজেদের মধ্যে বিয়ে করে বর বৌ হয়েছে, তারা আবার সন্তানও উৎপাদন করেন। সব মিলিয়ে বড্ড আজব এই বিবাহরীতি। তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকটাই বদলেছে এই উপজাতিদের জীবনযাত্রা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *