জানেন রাজন্য হালদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা কত? দাপুটে নেত্রীর পড়াশুনোর লেভেল শুনলে আঁতকে উঠবেন

জানেন রাজন্যা হালদারের চোখা চোখা ভাষণ লেখেন কে? নিজে নিজে তৈরি করেন, নাকি অন্য কেউ?

জানেন রাজন্যা হালদারের চোখা চোখা
ভাষণ লেখেন কে?

নিজে নিজে তৈরি করেন
নাকি অন্য কেউ?

সুন্দর, সুচারু, দক্ষ ভাষণ
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনে প্রতিটি শ্রোতা
ছাপিয়ে যায় সায়ণী, মমতাকেও

কীভাবে তৈরি হয় অগ্নিকন্যার বক্তৃতা?
আছে কি কোনও ভাষণ লেখক?
কত টাকা বেতন পান তিনি?

২১ জুলাইয়ের পর থেকেই তিনি ভাইরাল। আর ঠিক তার পরেই তিনি আলোচিত, বিতর্কিত, সমোলোচিত। কথা হচ্ছে, তৃণমূলের দাপুটে ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদারকে নিয়ে। ২১ জুলাইয়ের আগে যাকে কেউ চিনত না। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই প্রথম দেখা যায় তাঁকে। সেখানেই ভাষণ দিয়ে রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন এই তরুণী। জুলাইয়ের সমাবেশে রাজন্যার তুখোড় ভাষণে চমকে ওঠে সমবেত জনতা। কারণ তখনও কেউ ভাবেনি, শান্ত, স্নিগ্ধ চেহারার এই তরুণীর গলায় হবে এত জোর। সেদিনের জমকালো, ভরা মঞ্চ থেকে মোদীর বিরুদ্ধে হুংকার ছেড়ে তাক লাগিয়েছে এই অগ্নিকন্যা। তার চোখা চোখা ভাষণ জিতে নিয়েছে, একুশের মঞ্চে থাকা নেতৃবৃন্দ এবং শ্রোতাদের মন। অবশ্য ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই থেমে থাকেনি রাজন্যার দাপট। এরপরেও নানান মঞ্চে, সমাবেশে বক্তৃতা দিয়ে আগুন লাগিয়েছেন তিনি। রাজন্যার ভাষণ দেওয়ার ভঙ্গিকে অনেকেই সায়ণীর সাথেও তুলনা করছেন। কেউ কেউ তাকে দ্বিতীয় সায়নী বলেও সম্বোধন করছেন। এই মুহূর্তে সায়নীকেও ছাপিয়ে গিয়েছে রাজন্যার ভাষণ। কিছুদিন আগেও ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করত সায়নীর ভাষণ। কিন্তু ইদানিং ট্রেণ্ডিং এ রয়েছে রাজন্যা। ক্ষুরধার বাগ্মী বক্তা রাজন্যাকে ঘিরে জনমানসে তৈরি হয়েছে কৌতূহল! প্রশ্ন উঠছে, কে লেখেন
রাজন্যার এই ভাষণগুলো।

কারণ নেতা নেত্রীদের ভাষণ লিখে দেওয়ার একটি চল রয়েছে। আলাদা করে লোক রেখে ভাষণ লেখানো হয়। যেমন, ইন্দিরা গান্ধী থেকে মনমোহন সিং এদের প্রত্যেকেরই লোক ভাড়া করে ভাষণ তৈরি করা হত। এর জন্য মোটা অঙ্কের খরচ হত। কিন্তু রাজন্যার ক্ষেত্রে এমন কোনও লোক নেই। রাজন্যার ভাষণ অন্য কেউ লিখে দেন এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এখান থেকেই স্পষ্ট যে, তৃণমূলের ছাত্রনেত্রী নিজের ভাষণ নিজেই তৈরি করেন। তিনি অন্য কাউকে দিয়ে ভাষণ লিখিয়ে একটা টাকাও খরচ করেন না। সমসাময়িক বিষয় বস্তু ও অন্যান্য নেতৃ বৃন্দের বক্তৃতা থেকে তিনি নিজের ভাষণ তৈরি করেন। রাজন্যা তার প্রোগ্রামের ধরন অনুযায়ী ভাষণের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেন। তবে তৃণমূলের ছাত্র নেত্রীর উপস্থিত বুদ্ধি অনেক প্রখর। তাই যে কোনও স্থানে, যে কোনও ভাবে তিনি ভাষণের বিষয়বস্তু গুছিয়ে ফেলতে পারেন। এর জন্য় বিশেষ সময় লাগে না। যেহেতু পড়াশুনোয় তুখোড়, মেধাবী সেই সুবাধেই তিনি সুবক্তাও হয়ে উঠেছেন। এছাড়াও বক্তৃতায় তিনি কতটা পারদর্শী, সেই প্রমাণ বিভিন্ন মঞ্চেই তার কথা বলার ধরণ থেকে স্পষ্ট।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *