হাঁটুর বয়সী সেকেন্ড বউয়ের সাথে ফুলশয্যা সারলেন লক্ষ্মণ শেঠ! নেট পাড়ায় ভাইরাল দাপুটে নেতার বিবাহ অভিযান
হাঁটুর বয়সী সেকেন্ড বউয়ের সাথে
ফুলশয্যা সারলেন
দাপুটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠ
ইকো পার্কে দিলেন
জমজমাট রিসেপশন পার্টি!
তাজ হোটেলের তাল কুঠিরে
কাটালেন বাসর রাত!
নেট পাড়ায় ভাইরাল
লক্ষণ শেঠের বিবাহ অভিযান!
বয়স ৭৭ বছর। বহু আগেই পার করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু তাতে কি! বয়স বাড়লেও মনের দিক থেকেও যে এখনও তরুণ। মনের কোণে এখনও বাজছে প্রেমের সানাই। তাই তো ঘটা করেই ফের একবার সাত পাক ঘুরে নিলেন, কংগ্রেস তথা প্রাক্তন সিপিআইএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। বিয়ের করেছেন নিজের থেকেও কম বয়সী এক সুন্দরী তনয়াকে। বিয়ে অবশ্য অনেকদিন আগেই করেছিলেন। এবার ঝাঁকঝমকভাবে পালন করলেন বৌভাত। ইকো পার্কে এলাহী আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন করেছেন রিসেপশন পার্টি। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ একাধিক নেতা-নেত্রী। সামনে এসেছে সেসব ছবি।
রাজ্যনীতির আঙ্গিনায় লক্ষণ শেঠ বেশ আলোচিত একটি নাম। রাজনীতি থেকে ব্যক্তিগত জীবন দুদিক থেকেই চর্চিত তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে ২য় বার বিয়ে করে বেশ রোষানলে পড়েন এই নেতা। জল গড়িয়েছিল বহু দূর। শেষমেষ মৌনতা ভেঙে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি। খোলসা করেন তার দ্বিতীয় পত্নীর পরিচয়। নাম মানসী দে। কলকাতার একটি নামী হোটেলে উচ্চপদে কাজ করছেন তিনি। এক বন্ধু মারফত মানসীর সঙ্গে আলাপ হয় লক্ষণের৷ এরপরই প্রেম। প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত৷ চলতি বছরই আইনি ভাবে চার হাত এক করেন লক্ষণ-মানসী৷ ঘরোয়া অনুষ্ঠানে দুজনে মালাবদলও করেন। সেই সময় বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। পরে নিজেই শিকার করে নেন দ্বিতীয় বিয়ের কথা। লক্ষণ শেঠের প্রথম স্ত্রীর নাম তমালিকা পণ্ডা। একসময় হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন তমালিকা পণ্ডা।
এই তো গেল লক্ষণ শেঠের ব্যক্তিগত জীবন। রাজননৈতিক জীবনেও বেশ সমলোচিত তিনি। এক সময়, বাম আমলে তিনবার সাংসদ হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান। ২০১৪ সালে তাকে বহিষ্কার করে সিপিএম। এরপর নিজের একটি দল গঠন করেন। সেই দল নিয়ে কিছুই করতে পারেননি। এরপর নিজের তৈরি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন লক্ষ্মণ শেঠ। এদিকে, ২০১৮ সালে বিজেপিও তাঁকে বহিষ্কার করে। অগত্যা উপায় না দেখে, ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন বিতর্কিত লক্ষণ বাবু।
Leave a Reply