‘চন্দ্রযান ৩’ কে হেল্প করছে ‘চন্দ্রযান ২’! বন্ধুর মত জোট বেঁধেছে দুই চন্দ্রযান, একে অপরের বিপদে সাড়া দিচ্ছে
‘চন্দ্রযান ৩’ কে হেল্প করছে
‘চন্দ্রযান ২’!
বন্ধুর মত জোট বেঁধেছে
দুই চন্দ্রযান!
একে অপরের বিপদে
সাড়া দিচ্ছে!
কীভাবে
চন্দ্রযান-২-এর ‘হেল্প’ নিচ্ছে
চন্দ্রযান-৩?
চাঁদের পাড়ায় ঢোকার অপেক্ষায় চন্দ্রযান ৩। হাতে রয়েছে কিছুটা সময়। এরপর সোজা চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান ৩। আর চন্দ্রযান ৩ কে চাঁদে নামতে সাহায্য করছে চন্দ্রযান ২। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। ২০১৯ সালে ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান ২। চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করতে না পাড়ায় ফেইলড হয়ে যায় মিশনটি। তবে মিশনটি ফেইলড হলেও, চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারটি রয়ে যায় চাঁদের কক্ষপথে। সেই অরবিটার থেকে আজও উপকার পেয়ে যাচ্ছে ইসরো। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে অরবিটারটির মাধ্যমে। এবার আরও বড় উপকার করতে চলেছে চন্দ্রযান ২ এর এই অরবিটারটি। সাহায্য করতে চলেছে, চন্দ্রযান ৩ কে।
কীভাবে চন্দ্রযান ২, চন্দ্রযান ৩ কে সাহায্য করবে?
এক, চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারটি চাঁদের কক্ষপথে এখনও রয়েছে। ফলে এই অরবিটারটির কাছে চাঁদের অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে অনেক খুঁটিনাটি তথ্য রয়েছে। চাঁদের কোন পৃষ্টে নামলে চন্দ্রযান ৩ সুস্থ থাকবে, সুরক্ষিত থাকবে, সফল হবে এই সব বিষয়ে অরবিটারটি অভিজ্ঞসম্পন্ন। সেই দিক থেকে চন্দ্রযান ২, চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে বিশাল বড় ভূমিকা পালন করবে।
দুই, চন্দ্রযান ৩ এর অবতরণের সময় এবং অবতরণের পরে চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডার এবং গ্রাউন্ড স্টেশনের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করবে চন্দ্রযান ২।
তিন, চন্দ্রযান ৩ যদি কোনোভাবে সরাসরি আর্থ স্টেশনে সিগন্যাল পাঠাতে না পারে, সেক্ষেত্রে চন্দ্রযান ৩, চন্দ্রযান ২ কে সিগন্যাল পাঠাবে। চন্দ্রযান ২ সেই সিগন্যাল সরাসরি পাঠিয়ে আর্থ স্টেশনে।
চার, চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারটি এখনও খুব ভালো ভাবে কাজ করছে। ফলে চন্দ্রযান ৩ এর আপৎকালীন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে চন্দ্রযান ২ সহযোগিতা করতে সক্ষম হবে।
Leave a Reply