যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলে শরীর কেনা বেচার ব্যবসা! ফাঁকা অডিটোরিয়ামে অবাধে ঘটে কুকীর্তি, অভিযোগ তৃণমূলের!
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
চলে শরীর কেনা বেচার ব্যবসা!
ফাঁকা অডিটোরিয়ামে
অবাধে ঢোকে
জোড়ায় জোড়ায় ছেলে-মেয়ে!
চোখের সামনে চলে
তুমুল নোংরামো!
অভিযোগ তৃণমূলের!
ফাঁস চাঞ্চল্যকর ভিডিও!
রাজ্য়রাজনীতির আলোচনায় একটাই নাম যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফাঁস হচ্ছে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির নানান কুকীর্তি। একে একে খুলে পড়ছে যাদবপুরের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মুখোশ। যত মুখোশ খুলছে, ততই এই বিশ্ববিদ্যালয়য়ের বিরুদ্ধে ঘেন্না ছুঁড়ছেন সাধারণ মানুষ। এবার বেরিয়ে এলো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কুকীর্তি। এবার যে কাণ্ডটির কথা বলব, সেটি ধরা পড়েছে স্বনামধন্য এক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। এমনই কাণ্ড যা নিয়ে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে নেটপাড়ায়। যা শুনলে ও দেখলে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাবে। কপাল চাপড়ে ভাবতে শুরু করবেন শিক্ষা প্রাঙ্গণে এমন কাজকর্মও চলে?
এবার সরাসরি, শরীর দিয়ে ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। হ্যাঁ একেবারেই ঠিক শুনছেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে এমন তত্ত্ব সামনে আনা হয়েছে। একই সাথে স্বনামধন্য এক সংবাদ চ্যানেলের ভিডিওতে ধরা পড়েছে বেশকিছু অসন্তোষজনক দৃশ্য। যেখান থেকে আরও বেশি জোরালো হচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি। সব মিলিয়ে অভিযোগ উঠছে, যাদবপুরের মত এলিট বিশ্ববিদ্যালয়ে, পড়াশোনার আড়ালে রমরমিয়ে শরীর দিয়ে ব্যবসা চালায় এই প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু পড়ুয়া। এই অভিযোগকে ঘিরেই হুলস্থুল কাণ্ড রাজ্যজুড়ে। ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে যাদবপুর চত্বর।
একদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে এই অভিযোগ অন্যদিকে স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমের ভিডিওতে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের দুই যুবতী এবং দুই যুবককে ফাঁকা অডিটোরিয়াম থেকে বেরোতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে আর কেউ ছিল না। যে মুহূর্তে ওই দুই যুবক এবং দুই যুবতী ফাঁকা অডিটোরিয়ামে ছিলেন তখন সেখানে কোনও কাজ ছিল না তাদের। কারণ অডিটোরিয়ামে কোনও ফাংশন থাকলেই ছাত্রছাত্রীরা সেখানে যায়। অথচ এই ৪জন যখন অডিটোরিয়ামে ছিলেন তখন, অডিটোরিয়ামটি ছিল তালা বন্ধ। তারা পাঁচিল টপকে অডিটোরিয়ামে ঢোকেন। তাহলে কি উদ্দেশ্যে অডিটোরিয়ামে গিয়েছিলেন তারা! এই প্রশ্ন নিয়েই তাদের পিছু ধাওয়া করেন সংবাদ কর্মী। ক্যামেরা দেখেই পালিয়ে যায় তারা। তাদের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে একজন জবাব দিলেও, জবাবে মিলেছে বিস্তর অসঙ্গতি। তবে ভিডিও থেকে একথা স্পষ্ট যে তারা চারজনই একসাথে ফাঁকা অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করেছিল। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে প্রশ্নবাণ। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি এই কারণেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোয় আপত্তি জানাচ্ছে যাদবপুরের পড়ুয়ারা? নাকি এর থেকেও ঘৃণ্য কোনও কাজ আড়াল করতে সিসিটিভিতে আপত্তি যাদবপুর কতৃপক্ষের?
Leave a Reply