বারে বারে কেন আটকে যাচ্ছে আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা? নেপথ্যে লুকিয়ে ১টি মাত্র ছোট্ট ভুল
বারে বারে কেন আটকে যাচ্ছে
আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা?
সবাই টাকা পেলেও
আপনার একাউণ্ট ফাঁকা!
এর জন্য দায়ী
১টি মাত্র ছোট্ট ভুল!
এই ভুলের কারণেই
মার যাচ্ছে আপনার টাকা!
কি সেই ভুল?
কীভাবে ঠিক করবেন?
বাংলার মা, বোনেদের জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের সাহায্যে, বাংলার প্রতিটি মা, বোনেদের হাতে ৫০০ টাকা করে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। সংরক্ষিত শ্রেণীর হলে ১০০০ টাকা। ইতিমধ্যেই অগণিত মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তবে কেউ কেউ আবার এই সুবিধা পাচ্ছেন না। অনেকেই জানাচ্ছেন নাম তোলার পরেও টাকা ঢুকছে না একাউণ্টে। টাকা আটকে যাচ্ছে। ফলে কারো কারো কয়েকমাসের টাকাও আটকে গিয়ছে। সেই সমস্ত মহিলারা যাদের টাকা আটকে গিয়েছে, তারা বুঝতেও পারছেন না কেন তাদের টাকা আটকে যাচ্ছে। ফলে পাশের বাড়ির মহিলার টাকা ঢুকেছে, অথচ নিজের ঢোকেনি সেই দেখেই চিন্তায় ভাঁজ পড়ছে কপালে। টাকা না ঢোকার কারণ জানতে, ছোটা ছুটি ব্যাংকে ব্যাংকে। কিন্তু ব্যাংকে গিয়েও লাভের লাভ হচ্ছে না। তাদের জন্যই আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রাজ্যের প্রতিটি মহিলাদের জন্য। এখানে কাউকে টাকা দেওয়া হবে, কাউকে দেওয়া হবে না এমনটা নয়। যাদের টাকা ঢুকেনি, বা ঢোকার পরেও আবার থেমে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে টাকা না পাওয়া কারণ ছোট্ট কিছু ভুল। আর এই ভুলগুলো লুকিয়ে আছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের শর্ত পূরণের জায়গায়। এখানেই যারা গণ্ডগোল বাঁধাচ্ছেন তাদের টাকা ঢুকছে না। তাদেরর নাম কাটা পড়ছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে অবশ্যই এই শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। এগুলো বাধ্যতামূলক। এখানে ভুল ক্রুটি হলেই টাকা ঢুকবে না। বেশির ভাগ মহিলারাই এখানেই ভুল করছেন। শুধু ফর্ম ফিলাপ করেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়া যায় না। একই সাথে সঠিক ও উপযুক্ত নথিও জমা দিতে হয়। এখানে ছোট্ট ছোট্ট ভুল হলেও টাকা পাওয়ার সম্পূর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়। আপনাদের জানিয়ে রাখি, আপনি টাকা না পেলে তার জন্য ব্যাংক দায়ী নয়। ব্যাংকে ছুটে লাভ নেই।
এর জন্য আপনাকে সাইভার ক্যাফে যেতে হবে। কারণ সেখানেই বলে দিতে পারবে আপনি কোন শর্তগুলো পূরণ করতে পারেনি বা করলেও কোথায় কোথায় ভুল করেছেন।
আপনাদের সুবিধার্থে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের শর্তগুলো আরেকবার দেখিয়ে দেওয়া হল। এক নজর দেখে মিলিয়ে নিন,কোন কোন শর্ত আপনি পূরণ করেননি বা করলেও ভুল করেছেন-
১) বয়স হতে হবে ২৫-৫৯ বছর।
২) আবেদনকারী মহিলার নামে/পরিবারের একটি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে পরিবারের একজন মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।
৩) লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে আবেদনকারীর নিজস্ব সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
৪) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে আধার লিঙ্ক থাকতে হবে ।
৫) বিধবা ভাতা বাদে অন্য কোনো সরকারি প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পেলে এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন না।
৬) পরিবারের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী যদি আয়কর দেন তাহলে ওই পরিবারের মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।
৭) পাবলিক ফান্ডে সামান্য উপার্জনের চাকরি করা মহিলারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু অঙ্গনওয়ারি, আশাকর্মী, সিভিক ভলেন্টিযার হলে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন না।
Leave a Reply