এবার থানায় থানায় চালু হচ্ছে ‘পাগলা ঘন্টি’! থানার বড়বাবুর নাক ডাকার দিন শেষ

এবার থানায় থানায় চালু হচ্ছে ‘পাগলা ঘন্টি’! থানার বড়বাবুর নাক ডাকার দিন শেষ

এবার থানায় থানায় বাজবে
‘পাগলা ঘন্টি’

যা ভেঙে দেবে পুলিশের
নাক ডাকা ঘুম!

২৪ ঘণ্টা পুলিশ বাহিনীকে
রাখবে সজাগ!

গোলমাল হলেই কান ফাটিয়ে
বাজবে ‘পাগলা ঘন্টি’!

কেন বসানো হচ্ছে এমন ঘণ্টি?
কীভাবে কাজ করবে এটি?

রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে আরও বেশি তৎপর করতে বিরাট উদ্যোগ নিয়েছে মমতা। ইদানিং রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে নানা রকম অভিযোগ শোনা যায়। পুলিশ ঠিক মত কাজ করে না, কাজের সময় পুলিশকে পাওয়া যায় না, কোথাও বিপদ কিংবা ঝামেলা বাঁধলে পুলিশ সময়মত পৌঁছায় না। পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্তর গা ফিলতির অভিযোগ প্রায়শই উঠে আসে। তাই পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা সজাগ রাখানোর জন্য এবার থানায় থানায় লাগানো হবে ‘পাগলা ঘন্টি’। যে ঘণ্টির শব্দে পুলিশ কর্তার চোখের ঘুম উড়ে যাবে। নাক ডেকে গড় গড় শব্দে আর দু চোখের পাতা এক করতে পারবে না। ২৪ ঘণ্টা সজাগ ও সতর্ক থাকবে প্রতিটি পুলিশ অফিসার। কোথাও বিপদ হলেই কান ফাটানো শব্দে বেজে উঠবে এই পাগলা ঘন্টি’।

পাগলা ঘণ্টি আসলে কি?

এটি আসলে একটি হুটার বা সাইরেন। এটি এমনি একটি ঘণ্টি যা বাজলে কানের পর্দা পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। এই ঘণ্টি বাজার অর্থ কোনও অঘটন ঘটেছে। এই ধরনের ঘণ্টি জেলখানায় বসানো থাকে। কোনও বন্দি পালিয়ে গেলে এই ঘণ্টি বাজিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করা হয়। একটি ‘পাগলা ঘণ্টি’র দাম প্রায় ২৫ হাজার টাকা। এটি ইন্সটল করতেও বাড়তি খরচপাতির প্রয়োজন পড়ে।

থানায় হঠাৎ পাগলা ঘণ্টি লাগানোর উদ্দেশ্য কি?

এক, এই ঘণ্টি লাগানো নেপথ্যে মূল কারণ পুলিশকে তৎপর রাখা।

দুই, পাগলা ঘন্টির সাহায্যে, কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটলে একসঙ্গে অনেক পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিকদের জড়ো করতে সাহায্য করবে।

তিন, এছাড়াও, থানায় উত্তেজিত জনতা একসঙ্গে ঢুকে পড়লে এই ঘণ্টি বেজে উঠবে। সাথে সাথে পুলিশ আধিকারিকদের সতর্ক করবে। অতীতে জনরোষের কবলে পড়ে পুলিশ ও থানার অনেক রকম ক্ষতি হয়েছে।

কোন কোন থানায় পাগলা ঘণ্টি বসবে?

আপাতত কলকাতার থানাগুলিতে পাগলা ঘণ্টি বসানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *