চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে শাড়ি’ প্রকল্প, পুজোয় দুঃস্থরাও পাবেন নতুন জামা, ঘোষণা রাজ্যের মন্ত্রীর
দুর্গা পুজোয় চালু হচ্ছে
‘দুয়ারে শাড়ি’ প্রকল্প!
সস্তায় শাড়ি, পাঞ্জাবী বেচবে
রাজ্য সরকার!
খরচ নামমাত্র!
কিনতে পারবেন
দিনমজুর, অভাবীরাও!
কেমন হবে এই প্রকল্প?
কিভাবে মিলবে এই পরিষেবা?
সামনেই দুর্গা পুজো। পুজো মানেই আনন্দ, পুজো মানেই ফুর্তি! কিন্তু এই পুজো সবার কাছে আনন্দের নয়। অনেক মানুষ আছেন যাদের কাছে পুজোর আনন্দ বলে কিছু হয় না। পুজোর পরব তাদের দুয়ারে যায় না। পুজোর আনন্দ তো আর এমনি এমনি হয় না! পুজোয় আনন্দ করতে একটা নতুন জামা লাগে, মা দুর্গার অঞ্জলি দিতে মেয়েদের একটা ভালো শাড়ি, ছেলেদের একটা পাঞ্জাবী লাগে। ছোটদেরও ভালো কিছু পোশাক লাগে। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত, নিম্ম আয়ের মানুষজন তাদের কাছে পুজোর কেনাকাটা মানেই বাহাদুরি, এলাহি ব্যাপার। তাদের সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়, সেখানে পুজোর কেনাকাটা। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই পরিবারগুলো ইচ্ছে থাকলেও পুজোর হুল্লোড়ে পা মেলাতে পারেন না। এবার তাদের জন্য চালু হল দুয়ারে শাড়ি প্রকল্প। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ অভিনব এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। জনকল্যাণমুখি এই কর্মসূচীর দৌলতে আর্থিকভাবে দুর্বল বহু পরিবার উপকৃত হবে। এই কর্মসূচীর সাহয্যে অনেক নিম্ম রোজগারের মা বাবা, তাদের সন্তানদের হাতে পুজোর নতুন জামা তুলে দিতে পারবেন।
কেমন হবে এই কর্মসূচী?
এই কর্মসূচীটি অনেকটা দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মতন হবে। এই কর্মসূচীর আওতায়, একটি একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়াবে। গাড়িটির মধ্যেই থাকবে জামা কাপড়। জামা কাপড়ের মধ্যে ভ্যারাইটি থাকবে। যেমন, শাড়ি, গামছা, লুঙ্গি, শার্ট, ছোটদের জামা আরও অনেক কিছু থাকবে। আমজনতার দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে এই জামা কাপড় বিক্রি করা হবে।
এই কর্মসূচীর সুবিধাঃ
এক, এই কর্মসূচীর মাধ্যমে যে সমস্ত জামাকাপড় বিক্রি করা হবে সেগুলোর দাম হবে হাতের নাগালে। দাম শুরু হবে ৭০ টাকা থেকে। শেষ হবে ২০০ টাকা।
দুই, দামে সস্তা হলেও মানে ভালো হবে।
তিন, এই কর্মসূচীর মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর মধ্যে আনন্দের ধারা ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।
কোথায় শুরু হবে এই কর্মসূচীঃ
প্রান্তিক এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকাগুলোতে এই পরিষেবা শুরু হবে।
Leave a Reply