বলিউডের ব্যস্ততম অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অক্ষয় কুমার। সারা বছর ধরে ঠাসা কাজ থাকে তাঁর হাতে। তিনি দেশের অন্যতম জাতীয়তাবাদী অভিনেতাও বটে! কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ এই অভিনেতাকে বেশিরভাগ সময়েই জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ সিনেমাতেই অভিনয় করতে দেখা যায়। যা নিয়ে রসিকতা করতে ছাড়েন না দর্শকরাও। তবে সারা দেশে অক্ষয় ভক্তদের সংখ্যাও কিন্তু নেহাত কম নয়।
তিন দশকের অভিনয় জীবনে খিলাড়ি কুমারের জীবনে যেমন সাফল্য এসেছে তেমনি এসেছে ব্যর্থতা। তবে প্রতিবারই বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। অভিনয় জীবনে চূড়ান্ত সফল এই অভিনেতার ঝুলিতে রয়েছে দু’দুটি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড রয়েছে দুটি জাতীয় পুরস্কারও। ২০০৯ সালে ভারত সরকারের তরফ থেকে তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘ডাই-হার্ট’ অক্ষয় ফ্যানরাও অবাক হয়েছিলেন যখন তাঁরা জানতে পেরেছিলেন তাঁদের প্রিয় এই সুপারস্টারের কাছে নেই ভারতীয় নাগরিকত্ব। বলিউডে চূড়ান্ত সফল এই অভিনেতা এতদিন নাকি কানাডার নাগরিক ছিলেন।
কানাডার সিটিজেনশিপ নিয়ে এতদিন কম ট্রোলের মুখে পড়েননি অক্ষয়। তবে অবশেষে নিন্দুকদের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের আগেই ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার শংসাপত্র সামনে এনে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা লিখেছিলেন ‘তার মন এবং নাগরিকত্ব দুটোই ভারতীয়। পাশাপাশি দীর্ঘ ৩০ বছরের অভিনয় জীবনে ভারতীয় দর্শকদের থেকে তিনি যে পরিমাণ ভালোবাসা আর সম্মান পেয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অক্ষয়। আর এই সাফল্যের জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন বলেই জানিয়েছেন অক্ষয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আদতে অমৃতসরের বাসিন্দা হলেও বলিউডের এই অ্যাকশন হিরোর হঠাৎ করে কেন কানাডার নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রয়োজন পড়লো? জানা যায় নব্বইয়ের দশকে যখন একটু একটু করে ভারতীয় সিনেমার ধারা বদলাতে শুরু করেছিল তার সাথে তাল মেলাতে পারেননি অক্ষয় কুমার।
তাই দর্শকরাও বার বার খালি হাতেই ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন অভিনেতাকে। সেসময় পরপর ১৫ টি সিনেমা ফ্লপ হয়েছিল তাঁর। তাই ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে এক বন্ধুর পরামর্শেই ভারত ছেড়ে কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন অক্ষয়। আর তারপরেই অক্ষয় অভিনীত দুটি সিনেমা পরপর সুপারহিটহয় বক্স অফিসে। তারপর সেই বন্ধুর পরামর্শেই আবার দেশে ফিরে আসেন অক্ষয়। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে। একের পর এক সুপারহিট সব হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করে বারবার মন জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের। পরিবর্তে দর্শকরাও ভালোবাসায় ঝুলি ভরিয়ে দিয়েছেন অক্ষয় কুমারের। এরপর তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন পাসপোর্ট পরিবর্তন করার কথা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং শুরু হতেই টনক নড়ে অভিনেতার। এরপর তড়িঘড়ি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন খিলাড়ি। কিন্তু মাঝে করোনা পরিস্থিতির জেরে মাঝে আড়াই বছর নষ্ট হয়ে যায় অভিনেতার।
Leave a Reply