রতন টাটার চেয়েও সবচেয়ে বেশি দান করেন ভারতের এক ব্যক্তি! যার দানের গল্প শুনলে হা হয়ে যাবেন

কোটি কোটি সম্পত্তির মালিক হয়েও আদানি, আম্বানি, টাটা যা পারেননি তাই করে দেখালেন এক ভারতীয়! অসাধ্যকে সাধ্য করে দেখালেন

কোটি কোটি সম্পত্তির মালিক হয়েও
আদানি, আম্বানি, টাটা যা পারেননি
তাই করে দেখালেন এক ভারতীয়!

তিনি কোনও মিলিয়নার
কিংবা বিলিয়নার নন!

অথচ তিনিই করে দেখালেন
অসাধ্যকে সাধ্য!

কোটিপতি না হয়েও
করলেন কোটিপতিদের মতন কাজ!

কে এই ব্যক্তি?
কি করেছেন তিনি?

ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন ৩ জন। আদানি, আম্বানি, টাটা। ধন, সম্পদ থেকে দান-ধ্যান সবেতেই এগিয়ে এই ৩ ব্যক্তি। কিন্তু নাহ এই ধারণাকে ভেঙে দিয়েছেন এক সাধারণ ভারতীয়। যিনি আম্বানি, আদানি, টাটার মত ধনী ব্যক্তি নন। পয়সাওয়ালা কিংবা মিলিয়নার কোনও খেতাবই তার নেই। তিনি অতি সাধারণ এক মধ্যবিত্ত মানুষ। তবুও এই একটি ব্যক্তির কাছে চুনোপুঁটি ভারতের তাবড় তাবড় ৩ ধনকুবের। দানের দিক থেকে আদানি, আম্বানি, টাটাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন এই ভারতীয় ব্যক্তি। নাম ফকির চাঁদ। হরিয়ানার কৈথাল জেলার বাসিন্দা। ইনিই হলেন ভারতের সবচেয়ে বড় দানশীল ব্যক্তি। যার ধারে কাছে নেই স্বনামধন্য দানবীর রতন টাটা। রতন টাটার থেকেও বেশি দান করেন এই ফকির চাঁদ।

৫৩ বছর বয়সী ফকির চাঁদ স্ক্র্যাপ ডিলারের ব্যবসায়ী। ২৫ বছর ধরে তিনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। অত্যন্ত উদার মনের একজন মানুষ। যিনি উপার্জনের প্রায় ৯০ শতাংশ দান করেছেন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে। অথচ এমন নয় যে তিনি বেশ ধনী, তার লাক্সারিয়াস বাড়ি, গাড়ি রয়েছে। তিনি নিজেই থাকেন একটি এক কামরার ঘরে। তার নিজেরই জীবন চালাতে মাঝে মাঝে হিমশিম খেতে হয়। তাও তিনি ধনী হওয়ার কথা না ভেবে, সমাজসেবাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছেন। নিজের কথা না ভেবে সমাজের পিছিয়ে পড়া,দুস্থ মানুষদের জন্য কাজ করছেন। তার কাছে ধনী হওয়ার সুযোগ থাকলেও, তিনি সেই সুযোগ উপেক্ষা করে অপরের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

তিনি নিজের দৈন্যদশার মধ্যেই যা যা দান করেছেন শুনলে চমকে উঠবেন। তিনি নিজের জমানো ১১ লক্ষ টাকা এবং তার ভাইবোনদের রেখে যাওয়া ২৪ লক্ষ টাকা দান করেছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে। তিনি ইচ্ছে করলেই এই টাকাগুলো দিয়ে আরাম আয়েশের জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। ফকির চাঁদ প্রতিদিন প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা উপার্জন করেন। তার মধ্যে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা সঞ্চয় করেন এবং বাকি অর্থ দান করেন। ফকির চাঁদের দানের কথা বলতে গেলে কথা শেষ হবে না। তিনি এ পর্যন্ত ৫ জন দরিদ্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বিয়েতে প্রতিটি মেয়েকে প্রায় ৭৫ হাজার টাকারও বেশি জিনিসপত্র দিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি ধর্মশালায় গরুদের জন্য ছাউনি, গোশালা তৈরি করেছেন। ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে বৃদ্ধাশ্রমে একটি কক্ষ নির্মাণ করেছেন। সত্যি আজকালকার যুগে ফকির চাঁদের মতন মানুষ খুব কম দেখা যায়। এমন উদার মানসিকতা একেবারেই বিরল। শুধু যে অর্থ থাকলেই ধনী হয় না, মনের দিক থেকেও ধনী হওয়া যায়। ফকির চাঁদের দান ধর্ম মহাভারতের দাতা কর্ণের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। যিনি দানের জন্য নিজের প্রাণ দিতেও সর্বদা প্রস্তুত থাকতেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *