রেল লাইট

আমাদের দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য একটি গণপরিবহন ব্যবস্থা হল ভারতীয় রেল।  প্রতিদিন দেশের এই প্রান্ত থেকেও প্রান্তে ছুটে চলেছে হাজার হাজার ট্রেন। দ্রুত, কম খরচে যে কোনো গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য এই ট্রেনেই সফর করছেন দেশের নানা প্রান্তের কোটি কোটি মানুষ। হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় আট হাজার রেল স্টেশন থেকে ১২ হাজারের বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন ছুটে চলেছে দেশের প্রতিটি কোণায় কোণায়। এখনও  দেশের নানান প্রান্তে চলছে রেললাইন বিস্তারের কাজ  .তবে অনেকেই হয়তো জানেন না এই ভারতীয় রেলের সাথে জড়িয়ে রয়েছে নানান অজানা রহস্য। প্রতিদিন ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করলেও ব্যস্ততার কারণেই হয়তো অগোচরে থেকে  যায় এমনই একাধিক অজানা তথ্য। যেগুলি সম্পর্কে বিশদে না জানলেও তা জানার কৌতূহল থাকে সবারই।

ট্রেনের ইঞ্জিন অর্থাৎ লোকোমোটিভের সামনে থাকে  তিনটি লাইট। এই লাইট হয়তো কমবেশি আমাদের সকলেরই নজরে পড়েছে। কিন্তু আদতে আলাদা এই তিনটি লাইটেরই রয়েছে আলাদা আলাদা বিশেষত্ব। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন আসে কেন প্রত্যেকটি ট্রেনের সামনেই এই  তিনটি লাইট লাগানো থাকে? আলাদা আলাদা এই তিনটি লাইটের কি কাজ? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

আসলে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে থাকা এই তিনটি লাইটকে বলা হয় লোকোমোটিভ ইন্ডিকেটর। তিনটি লাইটের মধ্যে একটি লাইট হল হেডলাইট। এই লাইটে সমান্তরালভাবে দুটি সাদা বাল্ব লাগানো থাকে। লোকো পাইলট যাতে সামনের জিনিস সঠিকভাবে দেখতে পান তাই ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনেই এই জোরালো আলো লাগানো হয়ে থাকে।

এছাড়াও লোকোমোটিভের সামনে থাকে আরও দুটি আলো।  যার মধ্যে একটি লাল আলো এবং আরেকটি হয় সাদা আলো। রেলের নিয়ম অনুযায়ী  লাল আলো তখনই জ্বলে যখন  কোন লোকমোটিভ উল্টোদিকে যায়। তাই অন্যান্য যানবাহনের মতোই লোকমোটিভের এই লাল আলোটি ইঞ্জিনের ব্যাকলাইট হিসাবে কাজ করে। এর ফলে দূর থেকেই বোঝা যায় যে ট্রেনটি যাচ্ছে সেটি ওই ট্রেনের শেষ প্রান্ত।

এছাড়াও লোকোমোটিভের সামনে যে সাদা লাইট থাকে তা তখনই ব্যবহার করা হয় যখন লোকোমোটিভ সেটিংয়ের জন্য সামনের দিকে যায়। তবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে,পুরনো  যে সকল ইঞ্জিন রয়েছে সেই সকল ইঞ্জিনের এই আলো থাকে উপরের দিকে আর নতুন  ইঞ্জিনে এই আলো থাকে একদম মাঝে।

 

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *