মুকেশ আম্বানি

এশিয়া মহাদেশের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। রিলায়্যান্স গ্রুপের মালিক মুকেশ আম্বানির সাথে তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সদ্ভাবের কথাও অজানা নয় কারও কাছে। তাঁর কর্মচারীরাই  হলেন তাঁর কোম্পানির মূল শক্তি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভারতীয় এমন একটি বহুজাতিক কোম্পানি যাদের পাওয়ার, পেট্রোকেমিক্যাল, প্রাকৃতিক গ্যাস, রিটেল, টেলিযোগাযোগ, গণমাধ্যম এবং টেক্সটাইল সহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। আম্বানি নিজে এত বড় একজন কোম্পানির মালিক হয়েও কর্মচারীদের বিপদে আপদে পাশে থাকেন সর্বক্ষণ। বর্তমানে রিলায়েন্স গ্রুপে কাজ করেন মোট ৩ লক্ষ কর্মচারী।

 

এদের প্রত্যেককে মোটা মাইনের বেতন দেন আম্বানি। সেই সাথে প্রত্যেকের জন্যই থাকে নির্দিষ্ট কিছু সুযোগ সুবিধাও। তবে জানলে অবাক হবেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীতে এমন দুজন আধিকারিক রয়েছেন যাঁদের বেতন মুকেশ আম্বানির থেকেও প্রায় ১০ কোটি টাকা বেশি। প্রায় ৪ দশক ধরে রিলায়েন্স কোম্পানির সাথে যুক্ত এই দুই আধিকারিকের সাথে পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে অম্বানি পরিবারের।   এই দুই মুখ্য কর্মচারীই আড়ালে থেকেই প্রাণপাত করে চলেছেন কোম্পানীর জন্য।

 

রিলায়েন্স গোষ্ঠীর এই দুই মুখ্য কর্মচারী হলেন নিখিল মেসওয়ানি এবং হিতাল মেসওয়ানি। তাঁরা দুজনেই সম্পর্কে মুকেশ আম্বানীর ভাইপো হন। রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধিরুভাই আম্বানির ত্রিলোচনা বেন নামে এক  দিদি ছিলেন। তাঁরই একমাত্র ছেলে হলেন নিখিল এবং হিতালের বাবা রসিকলাল মেসওয়ানি। তিনি ছিলেন রিলায়েন্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। জানা যায় নিখিল মেসওয়ানি ১৯৮৬ সালে রিলায়েন্স গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিশেষ  ডিগ্রী রয়েছে তাঁর। রিলায়েন্স গ্রূপে যোগ দেওয়ার মাত্র  ২ বছরের মাথায় অর্থ্যাৎ  ১৯৮৮ সালে নিখিল কার্যকরী নির্দেশক হিসেবে নিযুক্ত হন। রিলায়েন্সের রিফাইনারি বিজনেসকে বড় করার পিছনে বিরাট অবদান রয়েছে তাঁর। এছাড়াও তিনি রিলায়েন্স জিও এবং রিলায়েন্স রিটেইলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও এই কোম্পানির আরও একাধিক দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। জানা যায় রিলায়েন্স পেট্রোকেমিক্যালের সাফল্যের পেছনে নিখিলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এছাড়াও, আম্বানিদের আইপিএল ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দেখাশোনা করারও বিরাট দায়িত্ব রয়েছে তাঁর।

 

নিখিলের দাদা হিতাল মেসওয়ানি হলেন কোম্পানির একজিকিউটিভ ডাইরেক্টর। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করার পাশাপাশি  স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি ।  হিতাল মেসওয়ানি রিলায়েন্সের সাথে যুক্ত রয়েছেন  ১৯৯০ সাল থেকে। ফোর্বসের রিপোর্ট অনুসারে , ২০২৩ সালে নিখিল মেসওয়ানি এবং হিতাল মেসওয়ানি দুজনেরই  পারিশ্রমিকের অনেক দাঁড়িয়েছে বার্ষিক ২৫ কোটি টাকা। যা এই কোম্পানির চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির থেকেও ১০ কোটি টাকা বেশি। জানা যায় বিগত কয়েক দশক ধরে ১৫ কোটি টাকা বেতন নেন মুকেশ আম্বানি। বেতনের কোনও ইনক্রিমেন্ট তিনি নেন না।

 

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *