হিন্দি সিনেমা জগতে সুন্দরী অভিনেত্রী তো অনেকেই রয়েছেন, কিন্তু বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রেখার সৌন্দর্যের ধারে কছে আজও নেই কেউ। বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই হলেও এই এজলেস বিউটি আজও হামেশাই টেক্কা দিতে পারেন ইন্ডাস্ট্রির এ যুগের তাবড় অভিনেত্রীদের। দীর্ঘ কয়েক দশকের অভিনয় জীবনে একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই ষাটোর্ধ তরুণী। আজও তাঁর কাছে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। রেখার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল শিশু শিল্পী হিসাবে। সংসারের হাল ধরতে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই এসেছিলেন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়াতে। যদিও কোনদিনই অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। ছোট থেকেই ফিল্মি পরিবারে বড় হয়েছেন রেখা।
রেখার বাবা জেমিনি গণেশন ছিলেন তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এখজন বিখ্যাত চিত্র পরিচালক। তিন বিয়ে ছিল তাঁর। প্রথম স্ত্রী আলামেলুর সঙ্গে বিবাহিত অবস্থাতেই গণেশন বিয়ে করেছিলেন সাবিত্রীকে। এ ছাড়াও বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় তামিল অভিনেত্রী পুষ্পাবল্লীর সঙ্গেও। এই পুষ্পাবল্লীর দুই মেয়েই হলেন রেখা এবং রাধা। কিন্তু গণেশন পুষ্পাবল্লীর সাথে সম্পর্ক স্বীকার করতে চাননি কোনোদিন। তাই ছোট থেকে কখনও পিতৃ পরিচয় পাননি রেখা এবং রাধা।
ছোট থেকে অভিনয় করলেও রেখা নাকি কখনও অভিনেত্রী হতেই চাননি। যদিও অভিনয়ের দৌলতেই আজও সাফল্যের শিখরে যিনি। দিদির দেখানো পথ অনুসরণ করেও এই একই পেশায় নাম লিখিয়েছিলেন রেখার বোন রাধা গণেশনও। যদিও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে রেখা তড়তড়িয়ে উপরে উঠলেও মডেলিংয়ের প্রতি ঝোঁক থাকায় ইন্ডাস্ট্রিতে সেভাবে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারেনি রেখার বোন রাধা। যদিও তাঁর এই ব্যর্থতার পিছনে ছিল তাঁরই নেওয়া একটা ছোট্ট ভুল সিদ্ধান্তও। জানা যায় মডেলিং করার সময়েই নাকি এক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন রাধা।
যা পরবর্তীকালে হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে মাইলস্টোন সৃষ্টি করেছিল। জানলে অবাক হবেন বলিউডের এই জনপ্রিয় সিনেমাটি ছিল ‘ববি।’ ঋষি কাপুরের মত জনপ্রিয় অভিনেতার সাথে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েও তা হেলায় হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী। পরে সেই ছবির প্রস্তাব যায় ডিম্পল কাপাডিয়ার কাছে। পরবর্তীতে সুযোগ না পেয়ে চিরকালের জন্যই তিনি বিদায় নিয়েছিলেন বলিউড থেকে। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালেই অভিনয় দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে বাল্যবন্ধু উস্মান সাইদলকে বিয়ে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান রাধা গণেশন।
Leave a Reply