ভারতের গন্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানীর নাম-যশ-খ্যাতি। বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্যই পৃথিবী বিখ্যাত রিলায়েন্স গ্রপের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানী সহ তাঁর গোটা পরিবার। রাজা-মহারাজাদের মতোই বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন তাঁরা। মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানীর সংগ্রহে রয়েছে বিশ্বের সবথেকে দামি শাড়ি। নিজের সন্তানদের বিয়েতেও খরচ করেন কোটি কোটি টাকা। ভারতীয় এই ধনুকবেরের সাথে তাঁর কর্মচারীদের সদ্ভাবের কথা অজানা নয় কারও কাছেই। তাই তাঁদের খুশি রাখতে হামেশাই দামি উপহার দিয়ে থাকেন আম্বানি। এমনই একবার নিজের সংস্থার এক কর্মচারীকে তিনি উপহার দিয়েছিলেন ১৫০০ কোটি টাকার বাড়ি।
মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত মুকেশ আম্বানির রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি অ্যান্টিলিয়া। ২৭ তলার সেই বাড়িতে গোটা আম্বানি পরিবার ছাড়াও থাকেন প্রায় ৬০০ জন কর্মচারী। তাই ভারতের এই ধনী ব্যবসায়ীর বাড়ির রাঁধুনিদের বেতন যে আকাশ ছোঁয়া হবে তা বলাই বাহুল্য। মুকেশ আম্বানির বাড়ির রাঁধুনিদের বেতন শুনলে লজ্জা পাবেন যে কোন নামী সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মচারীরাও। ‘ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী আম্বানির বাড়ির রাধুনীরা প্রত্যেক মাসে পারিশ্রমিক পান ২ লক্ষ টাকা। সেইসাথে পেয়ে থাকেন একাধিক বাড়তি সুযোগ সুবিধাও।
স্বাস্থ্য সচেতন মুকেশ আম্বানি বরাবরই নিরামিষাশী,তাই মাছ-মাংস ছুঁয়েও দেখেন না গোটা আম্বানি পরিবার। তাঁর পছন্দের খাদ্য তালিকায় রয়েছে তাইল্যান্ডের খাবার। তবে রবিবার দিন নাকি মুকেশ আম্বানির খাবারের পাতে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার থাকা চাইই -চাই। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে আম্বানি পরিবারের এই রাঁধুনীরা কিন্তু যে সে রাধুনী নন। তাঁরা যে কোন সময় মুহূর্তের মধ্যেই রান্না করতে পারেন যে কোন ধরনের পদ। তাই চাইনিজ হোক কিংবা মোগলাই নানা ধরনের খাবার দাবার তৈরি করতে বরাবরই সিদ্ধহস্ত এই রাঁধুনীরা।
তাঁদের পোশাক আশাক, হাঁটা-চলা কিংবা কথাবার্তা সবকিছুতেই রয়েছে রাজকীয় হাবভাব। শিক্ষাগত যোগ্যতাও রয়েছে চমকে দেবার মতো। বিভিন্ন বিদেশি সংস্থায় পড়াশোনা এবং কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, একাধিক ভাষায়ও কথা বলতে পারেন আম্বানীদের রাঁধুনীরা। তাঁদের জন্য আলাদা থাকার ঘরও রয়েছে আম্বানিদের রাজপ্রাসাদের মত বাড়িতে। তবে জানা যায় আম্বানি পরিবারের সমস্ত রাধুনীরা বাড়ি ফিরতে পারলেও প্রধান রাঁধুনিকে নাকি থাকতে হয় অ্যান্টিলিয়াতেই। তাঁদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে আলাদা গাড়ির ব্যবস্থাও। শুধু তাই নয় আম্বানি পরিবারের রাঁধুনীরা সেই সাথে পেয়ে থাকেন আরও একাধিক সুযোগ সুবিধা। এই কর্মীরা তো বটেই সেই সাথে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামেও রয়েছে বিমার সুযোগ। আম্বানী পরিবারের রাঁধুনীদের সন্তানদের জন্য পড়াশোনার খরচ যোগায় রিলায়েন্স গ্রূপ। সেইসাথে তাঁদের সন্তানদের জন্য থাকে আমেরিকার স্কুলে পড়াশোনা করার বিশেষ সুযোগ সুবিধাও।
Leave a Reply