রাস্তা ঘাটে একা বেরোনো মেয়েরা এবার থেকে সাবধান! আপনাদের জন্য ফাঁদ পেতছে একদল চক্রান্তকারী

রাস্তা ঘাটে একা বেরোনো মেয়েরা এবার থেকে সাবধান! আপনাদের জন্য ফাঁদ পেতছে একদল চক্রান্তকারী

রাস্তা ঘাটে একা বেরোনো
মেয়েরা এবার থেকে সাবধান!

মহিলাদের জন্য
ভয়ংকর ফাঁদ পেতেছে
একদল চক্রান্তকারী!

মহিলাদের শিকার করতে শহরজুড়ে
টহল দিচ্ছে এই অপরাধীরা!

আপনার অজান্তেই
করে দেবে সর্বনাশ!

কি সেই ফাঁদ?
শুনলে শিউরে উঠবেন!

ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেসটিগেশন ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সব মহিলারা অফিসে যান, কলেজে যান, দোকানে যান কিংবা কোনও দরকারে রাস্তাঘাটে ঘন ঘন বের হন, সেই সব মহিলাদের সর্বনাশ করতে এক নতুন উপায় বের করেছে অপরাধীরা। কর্মজীবী মহিলাদের টার্গেট করেই ভয়ংকর ফাঁদ পাতছে একদল ঘৃণ্য মস্তিষ্কের মানুষ। সেই ফাঁদ আপনি ধরতেও পারবেন না। বুঝতেও পারবেন না। নিজের অজান্তেই আপনি পা দিয়ে দেবেন সেই ফাঁদে। কি সেই ফাঁদ! ধরুন আপনি কলেজে যাচ্ছেন কিংবা অফিসে যাচ্ছেন অথবা অন্য কোনও কাজে যাচ্ছেন ঠিক সেই সময় কোনও মেয়ে বা ছেলে বাচ্চা কাঁদতে কাঁদতে আপনার সামনে এসে দাঁড়াল। চোখে ছলে ছ্লে জল এনে আপনাকে বলল সে হারিয়ে গিয়েছে। আপনার কাছে বাড়ি ফেরার জন্য সাহায্য চাইল। আপনার হাত, পা জড়িয়ে ধরল।

মহিলাদের মন এমনিতেই কোমল, মায়ের জাত বলে কথা। স্বাভাবিকভাবেই ওই হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট বাচ্চাটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের মন কেঁদে উঠবে। মহিলাদের এই মানবিকতার সুযোগ নিচ্ছে চক্রান্তকারীরা। আসলে ওই বাচ্চাটিকে মহিলাদের কাছে পাঠাচ্ছে চক্রান্তকারীরা। বাচ্চাটিকে দিয়েই ফাঁদে ফেলে মহিলাদের শিকার করছে অপরাধীরা। বাচ্চাটি মহিলাদের কাছে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে একটি ঠিকানা বলছে। সেই ঠিকানায় গেলেই নাকি তার বাবা মায়ের দেখা পাওয়া যাবে। তার পরিবার নাকি ওই ঠিকানায় থাকে। এদিকে বাচ্চাটির কথা সাত পাঁচ না ভেবেই বিশ্বাস করে ফেলছে মহিলারা। সেই সাথেই তাকে তার পরিবারের কাছে দিয়ে আসতে পৌঁছে যাচ্ছেন মহিলারা পৌঁছে যাচ্ছেন সেই ঠিকানায়। ব্যস এখানেই বিপদ। সেখানে গেলেই মহিলারা দেখছেন অন্য কেস। বাচ্চাটির বাবা মা তো নেই, বরং একদল ঘৃণ্য মানুষের পাল্লায় পড়ে যাচ্ছেন সহজ সরল মহিলারা। বাচ্চাটির হাত ধরেই জালিয়াতদের হাতে পড়ে যাচ্ছেন নারীরা। তাদেরকে আটকে রেখে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করছে জালিয়াতরা। ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেসটিগেশন ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর থেকেই এই ধরনের অপরাধের সক্রিয়তা বেড়েছে। এর কারণ একটা ছোট্ট বাচ্চাকে রাস্তায় অঝোরে কাঁদতে দেখলেই যে কোনও মেয়েই আবেগতাড়িত হয়ে পড়বে। এরপর বাচ্চাটিকে সাহায্য করতে গিয়েই যত বিপদ। ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেসটিগেশন এর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ সংগঠনের আগে টার্গেট করা মহিলার উপর নজরদারি চালায়। টার্গেট করা মহিলা কোন রাস্তা দিয়ে যায়, কখন যায়, কি করেন সবই তারা নোট করেন। এরপরেই অপরাধীরা সুযোগ বুঝে ফাঁকা রাস্তায় বাচ্চাটিকে টোপ হিসেবে ছেড়ে দেয়। এরপর অপেক্ষায় থাকে কখন শিকার ফাঁদে পা দেয়। ব্যস একবার টার্গেট করা মহিলা ফাঁদে পা দিলেই লাভের অঙ্ক কষতে শুরু করে অপরাধীরা। একবার ফাঁদে পা দিলেই মহিলাদের সঙ্গে খারাপ পরিণতি করেই ছাড়ে অপরাধীরা।

তবে এই ঘটনার ফলে, যারা সত্যি সত্যি হারিয়ে যাবে তাদের কি হবে? তাদের তো কেউ সাহায্য করবে না। এই সমস্যার সমাধান জানিয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেসটিগেশন সংস্থা। তাদের মতে, এই ক্ষেত্রে বাচ্চাদের বলা ঠিকানায় না গিয়ে, একশ অথবা একশ বারো এই দুটো নাম্বাড়ে ফোন করুন। ব্যস এতে আপনিও বিপদে পড়বেন না, বাচ্চাটিও সুরক্ষিত থাকবে। ভিডিওটি আপনার মেয়ে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। তাদেরকেও সাবধান হওয়ার সুযোগ করে দিন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *