বিপুল এই পৃথিবীর কতটুকুইবা আমরা জানি! আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমনই অনেক অজানা তথ্য। যা থেকে যায় আমাদের লোক চক্ষুর আড়ালে। ভারতবর্ষের লাইফ লাইন ট্রেন নিয়েও এমনই অনেক অজানা তথ্য রয়েছে যা একরাশ বিষ্ময় সৃষ্টি করে আমাদের মনে। তবে জানলে অবাক হবেন বিশ্বের এমনও কিছু রেলস্টেশন আছে যেখানে মানুষ দাঁড়িয়ে নয় টিকিট কাটেন শুয়ে কিংবা বসে। তবে এই অদ্ভুত রেলওয়ে স্টেশনটি কিন্তু ভারতে নয়, রয়েছে ভারতেরই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে। যা এখন গোটা দুনিয়ার মানুষের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের এই আজব রেলস্টেশনটির নাম বামনডাঙ্গা। যা রয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। নিত্যযাত্রীরা বলেন নামের সাথে দারুন মিল এই রেলস্টেশনটির। এই স্টেশনে গেলেই টিকিট কাউন্টারের বাইরে দেখা যায় এক আজব দৃশ্য। কেউ ষষ্টাঙ্গে শুয়ে পড়েছেন তো কেউ আবার হাঁটু গেঁড়েই বসে পড়েছেন কাউন্টারের সামনে। এই স্টেশনে কেউই দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে পারেন না। কিন্তু কেন? রেলস্টেশনের অদ্ভুত নিয়ম বোধ হয় পৃথিবীর আর কোন দেশে নেই ! বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যেও।
গত এক বছর ধরে এই নিয়মেই বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনে টিকিট বুকিংয়ের কাজ চলছে। স্বভাবতই বিষয়টা ভীষণ বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই স্টেশনের রেলযাত্রীদের কাছে। বিশেষ করে মহিলা কিংবা বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিষয়টা অত্যন্ত অসুবিধা জনক। কিন্তু এই রেলস্টেশনে এমন নিয়ম কেনইবা চালু হল, যেখানে দাঁড়িয়ে থাকার বদলে বসে কিংবা শুয়ে টিকিট কাটতে হয়।
এর নেপথ্যে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। জানা যাচ্ছে বছর খানেক আগে এই স্টেশনের যাত্রীদের নামা-ওঠার সুবিধার জন্য প্ল্যাটফর্ম উঁচু করার পাশাপাশি উঁচু করা হয়েছিল স্টেশনের ওয়েটিং রুম-ও। কিন্তু সেই সময় কোন কারনে স্টেশন মাস্টারের ঘরটি উঁচু করা হয়নি। যার ফলে এখন প্রতিনিয়ত এই স্টেশনের নিত্যযাত্রীদের এই ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই চাইলেও কেউ এই স্টেশনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটতে পারেন না। তাই ঘরের উচতার সমস্যার কারণেই নীচের ঘরে থাকা স্টেশন মাস্টারের থেকে দাঁড়িয়ে নয় যাত্রীদের টিকিট নিতে হয় বসে অথবা শুয়ে।
Leave a Reply